এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার মহারাষ্ট্রের দোর্দণ্ডপ্রতাপ মন্ত্রী নবাব মালিক। বুধবার সকালেই ইডি তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে আনে। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতারে স্বাভাবিকভাবেই খুশি বিজেপি।
আর তাই সেই খুশি জাহির করার জন্য শূন্যে তলোয়ার ঘুরিয়ে ভিড় জড়ো করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতা মোহিত খাম্বোজের ওপর। তাঁর বিরুদ্ধে বুধবার রাতেই সান্তাক্রুজ পুলিশ এফআইআর দায়ের করে।
এরপর তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে যে হাওয়ালার সঙ্গে যুক্ত থাকার ক্ষেত্রে নবাব মালিকের নাম প্রথম উঠে এসেছিল। দাউদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলার তদন্ত করছে ইডি। এর আগেই দাউদে কিছু ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বিরুদ্ধে হাওয়ালার মাধ্যমে বেআইনিভাবে টাকা পাচারের প্রমাণ মিলেছে আগেই।
এই ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সান্তাক্রুজ (পশ্চিম)–এর ভিপি রোডে খাম্বোজের নিজের আবাসিক বিল্ডিংয়ে। শিবাজি মহারারাজের প্রশংসা করে চিৎকার করো স্লোগান দিয়ে বিজেপি নেতার বাসভবনের চারপাশে ৬০ জন বিজেপি কর্মী জড়ো হয়েছিলেন। কর্মীদের মধ্যে একজন খাম্বোজকে তলোয়ার দেন, যিনি খাপ থেকে তা টেনে বের করে বাতাসে ঘোরাতে থাকেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সান্তাক্রুজ পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং ভিড় ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং তলোয়ারটি বাজেয়াপ্ত করে। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার জন্য এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮, ২৬৮ ধারায় মামলা দায়ের হয়। এছাড়াও ভারতীয় অস্ত্র আইনের ৪ ও ২৫ ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালেই কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের অর্থপাচার সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নবাব মালিককে নিজেদের দফতরে নিয়ে গিয়েছিল। সকাল ৭ টা নাগাদ এনসিপি নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।