তাহলে কি বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছেন তিনি? ফের কি শিবির বদল করতে চলেছেন নীতীশ কুমার? প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতের পর ফের শুরু হয়েছে সেই জল্পনা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের ভোটের পরই বিজেপির সঙ্গ ছাড়তে পারে নীতীশ কুমারের জেডিইউ। দলের মধ্যে নাকি এ নিয়ে আলোচনাও চলছে। সেক্ষেত্রে বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ারও সম্ভাবনা আছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর।
সূত্র অনুযায়ী, গত কয়েকদিনের মধ্যে বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন নীতীশ। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বিহারের ঘটনাক্রমের দিকে নাকি নজর রেখেছেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারও। এর মধ্যে আবার প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে নীতীশের নৈশভোজ জল্পনা আরও বাড়িয়েছে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টা করছেন প্রশান্ত কিশোর। আর নীতীশ কুমার এই মুহূর্তে বিজেপির অসন্তুষ্ট শরিক। দুই শিবিরের মধ্যে মতবিরোধ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সেক্ষেত্রে নীতীশকে বিরোধী শিবিরে ভাঙিয়ে আনার একটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে, শুধু নীতীশের সঙ্গে নয়। এমাসের গোড়ার দিকে কেসিআরের সঙ্গেও দেখা করেছেন পিকে। শোনা যাচ্ছে, তেলেঙ্গানার আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রশান্তের আই-প্যাক কেসিআরের হয়ে কাজ করতে পারে। পিকে-কেসিআরের সেই বৈঠকেই নাকি নীতীশকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করার সম্ভাবনা নিয়ে প্রথম আলোচনা হয়। তারপরই নীতীশের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে আলোচনা করেন দুই নেতা। যদিও, এই যাবতীয় জল্পনা নিয়ে কোনও পক্ষ এখনও মুখ খোলেনি।
উল্লেখ্য, দু’বছর আগে বিধানসভা ভোটে জেডিইউয়ের থেকে অনেক বেশি আসন পাওয়া সত্ত্বেও জোটধর্মের স্বার্থে নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি। তখনই অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, বিহারের এই এনডিএ সরকার মসৃণভাবে চলতে পারবে না। বাস্তবে হচ্ছেও তেমনই। শুরু থেকেই প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বারবার হোঁচট খেতে হচ্ছে নীতীশ কুমারকে। আবার জেডিইউ নেতারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখার স্বার্থে মাঝে মাঝেই কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করছেন।