২০০৮ সালে আইপিএল-এ ম্যাচের পরে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ক্রিকেটার এস শ্রীসন্থকে চড় মেরেছিলেন তৎকালীন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্রিকেটার হরভজন সিংহ। মাঠের মধ্যেই হাউ হাউ করে কেঁদেছিলেন শ্রীসন্থ। সেই ঘটনা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। শাস্তি হিসাবে ১১ ম্যাচ নির্বাসনে পাঠানো হয় ভাজ্জিকে। সেই একই ঘটনা এ বার দেখা গেল পাকিস্তান সুপার লিগে। তবে এ বার বিপক্ষ দলের ক্রিকেটার নন, সতীর্থকেই চড় মারলেন পাকিস্তানের পেসার হ্যারিস রউফ।
এত কিছুর পরেও অবশ্য ম্যাচ জিততে পারেনি লাহৌর। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৫৮ করে পেশোয়ার। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে সমান রান করে লাহৌর। ম্যাচ টাই হওয়ার পরে সুপার ওভারে অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদির ২৩ রানের দৌলতে ম্যাচ জেতে পেশোয়ার।
পিএসএল-এ পেশোয়ার জালমির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল লাহৌর কলন্দর্স। লাহৌরের বোলার হ্যারিসের দ্বিতীয় ওভারে হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের ক্যাচ ফেলেন কামরান গুলাম। যদিও সেই ওভারেই মহম্মদ হ্যারিসকে আউট করেন হ্যারিস। উইকেট পাওয়ার পরে সবাই যখন উল্লাস করছেন তখনই দেখা যায় গুলামকে চড় মারেন হ্যারিস।
চড় খেয়ে অবশ্য পাল্টা কিছু বলেননি গুলাম। তিনি বরং ভাল বল করার জন্য হ্যারিসকে শুভেচ্ছা জানান। যদিও হ্যারিসের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তিনি ক্যাচ ফস্কানোর বিষয়টি তখনও মেনে নিতে পারেননি। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। হ্যারিসের সমালোচনা করছেন সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, খেলায় এই ধরনের ভুল হতেই পারে। তার মানে এই নয় কেউ অন্যের গায়ে হাত তুলতে পারবেন। হ্যারিসের শাস্তির দাবি করেছেন অনেকে।