সোমবারই রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের শেষকৃত্য। রবিবার জীবনাবসান ঘটে রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের। এদিন নিমতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বর্তমানে বিধানসভা প্রাঙ্গনেই রয়েছে ৭১ বছর বয়সী প্রবীণ বিধায়কের মরদেহ।
রবিবার রাত একটা নাগাদ মুম্বই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় সাধনের মরদেহ। দমদম বিমানবন্দরে সতীর্থকে শ্রদ্ধা জানান সুজিত বসু, শশী পাঁজা, অতীন ঘোষ, তাপস রায় সহ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। বিমানবন্দর থেকে পিস ওয়ার্ল্ডে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর মরদেহ। সেখানে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা জানান সোহম চক্রবর্তী, মিমি চক্রবর্তীরা। এদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ পিস ওয়ার্ল্ড থেকে কাঁকুরগাছির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর দেহ। সেখান থেকে দেহ আনা হয় গোয়াবাগানের পৈতৃক বাড়িতে। এরপর বিধানসভায় পৌঁছয় মরদেহ। এদিন সেখানেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধন পাণ্ডের কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডে এবং তাঁর স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন বিধানসভায়।
এদিন সতীর্থকে শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন জাভেদ খান, বিমান, অশোক দেব, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস রায়, পরেশ পাল, দেবাশিস কুমার সহ বিশিষ্ট রাজনীতিকরাও। এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তাড়াতাড়িই চলে গেলেন। আর কিছুদিন থাকতে পারতেন। শেষের দিকটা খুবই কষ্ট পাচ্ছিলেন’। রাজনীতিককে শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় পৌঁছেছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। বিধানসভার আধিকারিকরাও উপস্থিত হয়েছিলেন এদিন। জানা গিয়েছে, এদিন বিডন স্ট্রিট হয়ে তাঁর দেহ পৌঁছবে নিমতলা ঘাটে।
উল্লেখ্য, টানা ন’বারের বিধায়ক ছিলেন সাধন পাণ্ডে। বড়তলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে একটানা জিতেছেন তিনি। ফলত বিধানসভার সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক ছিল তাঁর। কর্মী-সমর্থকদের মধ্য়ে তো বটেই, সাধারণের মধ্যেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল তাঁর। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি, রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনিযুক্তি দফতরের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। তাঁর মৃত্যুর পর শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের সতীর্থ, দলীয় নেতা এবং ক্যাবিনেটের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে প্রয়াত। রবিবার মুম্বইতে মৃত্যু ঘটে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে ওঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল আমার। ওঁর প্রয়াণে আমি মর্মাহত। ওঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অনুগামীদের সমব্যথী আমি’।