এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ আগামী সপ্তাহে যে কোনও দিন মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে আসার অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল৷ এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন পরিবহন ও আবাসনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ তিনি বলেন, “রাজ্যপাল প্রতিদিন তাঁর সাংবিধানিক পদের অমর্যাদা করছেন৷ মানুষ তাঁর কাজকর্ম পছন্দ করছে না৷ এমন একটা সময় আসতে পারে যখন জনমত তাঁর বিরুদ্ধে যাবে৷”
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক এখন তলানিতে ঠেকেছে৷ কিছুদিন আগেই তাঁকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পরে অবশ্য আনব্লক করেন৷ দলনেত্রীর নির্দেশে জগদীপ ধনকরকে রাজ্যপালের পদ থেকে অপসারণ চেয়ে রাজ্যসভায় সরব হয়েছে তৃণমূল৷ জগদীপ ধনখড়কে সরাতে একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে৷ কিন্তু তারপরেও রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সম্পর্কের উন্নতির কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি৷ উল্টে সময় যত গড়িয়েছে ততই সম্পর্কের শীতলতর হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই এই পরতে পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব নিয়েও কটাক্ষ শুরু হয়েছে তৃণমূলের৷ দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনা হতেই পারে। তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু রাজ্যপাল তা টুইট করে জানাবেন কেন? এর পিছনে রাজনীতি, প্ররোচনা এবং নাটক রয়েছে। রাজ্যপাল আন্তরিক ভাবে বৈঠক চাইলে টুইট করতেন না। টুইট মালব্যের মতো তিনি আসলে টুইট ধনকর হয়ে গিয়েছেন।” বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন ফিরহাদ হাকিম৷ তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট সহনশীল৷ তিনি সর্বদা রাজ্যপালকে সম্মান জানিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন৷ অথচ রাজ্যপাল কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে খুশি করার জন্য অসাংবিধানিক কাজকর্ম করছেন৷ রাজ্যপালের উচিত মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সাংবিধানিক মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে কাজ করা৷”