কড়া নিরাপত্তায় চার জেলার চার পুরনিগমের ভোটগ্রহণ শুরু হল। দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি পুরনিগম, হুগলি জেলার চন্দননগর পুরনিগম, উত্তর ২৪ পরগনার বিধাননগর পুরনিগম ও পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল পুরনিগমে আজ ভোট। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফল ঘোষণা।
সকাল ৯টা পর্যন্ত চার পুরনিগমে ভোটের গড় হার প্রায় ১৩ শতাংশ। বেশি ভোট পড়ল বিধাননগর ও আসানসোলে। বিধাননগরে ১৩.৬৪ শতাংশ, আসানসোলে ভোট পড়ল ১৩.৫৭ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে চন্দননগরে – ১১.৮১ শতাংশ।
আগে ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমের ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। চার পুরনিগমের ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করানোর দাবি উঠলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায় রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করানো হবে। ভোট কেন্দ্রের সুরক্ষায় মোতায়েন সাড়ে আট হাজার রাজ্য পুলিশ। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি বুথ থাকলে সেখানে এক জন এএসআই, দু’জন সশস্ত্র, এক জন লাঠিধারী পুলিশ থাকবে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যদি ৯টি বুথ থাকে তাহলে সেখানে এক জন ইন্সপেক্টর, তিন জন এএসআই, চার জন সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ১০টি বুথ থাকলে এক জন ইন্সপেক্টর, চার জন এএসআই ও চার জন সশস্ত্র পুলিশ থাকবে।
বিধাননগরে ৪১টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ আজ, ১০৬টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ আসানসোল পুরনিগমে। প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ ভোটার রয়েছেন। চন্দননগরের ৩২টি ওয়ার্ডে ভোট এবং শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৭টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ চলছে।
এই প্রথম বিধাননগরের ভোটে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ এবং ইএফআর মোতায়েন থাকছে। আজ শুধু বিধাননগরের জন্য বিশেষ দায়িত্ব পালন করবেন এসটিএফের অতিরিক্ত ডিজি জ্ঞানবন্ত সিং। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকছেন সিআইডির আই জি আনন্দ কুমারও। শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস নিজেও বিধাননগর গিয়ে পুরভোটের শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে বিধাননগরে আজ চার হাজার পুলিশ থাকছে।