যোগী আদিত্যনাথের গোরক্ষপুরে ভয়াবহ ঘটনা। নাবালক মেয়ের ধর্ষণকারী বলে অভিযুক্তকে আদালত চত্বরে নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক থেকে গুলি করে খুন করল নির্যাতিতার বাবা। বিচার ব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখতে না পারার পাশাপাশি প্রতিশোধস্পৃহা, চরম আক্রোশের বশেই কি নিজের হাতে আইন তুলে নিল প্রাক্তন বিএসএফ জওয়ান? শুক্রবারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের দিলশাদ হুসেন নামে ধর্ষণে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের নাবালক যৌন নির্যাতন রোধ আইন (পকসো) মামলায় দেওয়ানি আদালতে শুনানি ছিল। দুপক্ষ কোর্ট চত্বরে পা রাখতেই উত্তেজনা ছড়ায়। বাকবিতণ্ডা হয়। সংবাদ সংস্থাকে এডিজি অখিল কুমার বলেন, পকসো মামলায় হুসেনের বিচার চলছিল। মেয়েটির বাবা অভিযুক্তকে নিশানা করে গুলি চালায়, ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। আমরা হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করেছি। আইনজীবী ও আদালতে হাজির লোকজনের সাহায্যে হামলাকারী ধরা পড়েছে। কোর্ট চত্বরের যে দরজা দিয়ে সে ঢুকেছিল, সেখানে মোতায়েন পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আদালত চত্বরের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরা।
জানা গিয়েছে, কোর্ট চত্বরের বাইরে দুপক্ষের কথাকাটাকাটি হয়। মেয়ের ধর্ষণে অভিযুক্তকে হত্যার পর ধৃত প্রাক্তন বিএসএফ জওয়ান জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, দিলশাদ ২০২০র ১২ ফেব্রুয়ারি তার মেয়েকে অপহরণ করে। পুলিশ জানিয়েছে, দিলশাদ জামিনে বাইরে ছিল, কোভিড ১৯ সংক্রান্ত নিয়মবিধি বহাল থাকায় সে আদালতের গেটে তার আইনজীবীকে ডেকেছিল। একটি সূত্রের দাবি, তিনি সেখানে পৌঁছনোর আগেই ওই জওয়ান সেখানে হাজির হয়। দিলশাদের মাথায় গুলি করে। সেখানেই সে লুটিয়ে পড়ে।