মন্দিরে এক মুসলিম মহিলার ধর্ম পরিবর্তন করা হয়েছে। এই ঘটনা শুনানিতে উঠে আসতেই আর্য সমাজকে নোটিস দিল মধ্য প্রদেশ হাইকোর্ট। মন্দিরের পুরোহিতকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে বিচারপতি রোহিত আর্য ও বিচারপতি রাজীব কুমার শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে চলছে একটি মামলার শুনানি। হিনা নামে এই মহিলা শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাইলেও তাঁকে পুলিশি ঘেরাটোপে রাখা হয়েছে বলে আবেদনে জানিয়েছেন তাঁর স্বামী। সেই মামলারই শুনানি চলছে আদালতে।
আবেদনকারীর নাম রাহুল ওরফে গোলু। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী হিনাকে মধ্য প্রদেশের মোরেনায় পুলিশি ঘেরাটোপে ‘নারী সুধার গৃহে’ রাখা হয়েছে। তাঁকে ওই ঘেরাটোপ থেকে যাতে মুক্ত করা হয়, সেই আর্জিই আদালতে জানিয়েছেন রাহুল। রাহুল হিন্দু পরিবারের ও হিনা মুসলিম পরিবারের মেয়ে। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলেও বিয়েতে মত ছিল না হিনার পরিবারের। তাই বাড়ি থেকে পালিয়ে রাহুলকে বিয়ে করেন হিনা। বিয়ের সময় হিনা নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেন বলেও জানিয়েছেন তাঁর স্বামী। আর্য সমাজের একটি মন্দিরে তাঁদের বিয়ে হয়।
গত ১০ জানুয়ারি আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, আর্য সমাজকে এই মামলার পার্টি করতে হবে। পরে ১৮ জানুয়ারি সেই আবদেন তুলে নিতে চান তিনি। এরপর অতিরিক্ত অ্য়াডভোকেট জেনারেল আদালতে উল্লেখ করেন, ‘আর্য সমাজ বিবাহ মন্দির ট্রাস্ট’ হিনা খান নামে এক মুসলিম মহিলার ধর্ম পরিবর্তন করেছে। তাঁর দাবি, এই কাজ মন্দিরে করা যায় না। তাই তাঁর আর্জি ছিল আর্য সমাজকে এই মামলার পার্টি করার আবেদন তোলা যাবে না ও আদালতকে স্বতপ্রণোদিত নোটিস জারি করতে হবে।
এরপরই আর্য সমাজকে নোটিস দেয় আদালত। এই ঘটনাকে সিরিয়াস বিষয় বলে উল্লেখ করেছে আদালত। নির্দিষ্ট দিনে মন্দিরের পুরোহিতকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।