বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোয়ার বিজেপি শিবিরে আবারও ভাঙন। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পরেসকর ইস্তফা দিতে চলেছেন প্রবীণ বিজেপি নেতাকেও নির্বাচনী টিকিট দেয়নি দল। সূত্রের খবর, সেই কারণেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এদিন সংবাদ সংস্থাকে লক্ষ্মীকান্ত বলেন, আমি বিকেলের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তফা দেব। ২০১৭ সালে মান্দ্রেম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েছিলেন লক্ষ্মীকান্ত পরেসকর। তবে সে বছর তাঁকে পরাজিত করেন তৎকালীন কংগ্রেস প্রার্থী দয়ানন্দ সোপ্তে। কিন্তু, ২০১৯ সালে দয়ানন্দ বিজেপিতে যোগ দেন এবং ওই কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক তিনি। এ বছরও প্রার্থী হিসেবে তাঁকে মনোনীত করেছে পদ্ম শিবির।
সম্প্রতি মনোহর-পুত্র উৎপল পররিকরকে টিকিট না দেওয়ায়, তিনিও ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই প্রয়াত মনোহর পররিকর। তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তাও ছিল। পানাজি আসন থেকেই নির্বাচনী যুদ্ধে অংশ নিতেন তিনি। ওই কেন্দ্র থেকেই লড়তে চাইছিলেন উৎপল। কিন্তু, বিজেপির সঙ্গে দ্বিমত হয় তাঁর। ‘ঠিক সময় অবস্থান স্পষ্ট করব’, বলে উৎপল জানান তিনি ভোটে লড়লে পানাজি থেকেই লড়বেন। এমনকী প্রচারও শুরু করেন। এরপর তাঁর কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এদিকে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও তাঁকে দলে আসার আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু, শুক্রবার যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে বড় ঘোষণা করেছেন উৎপল। তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবেই ভোটযুদ্ধে লড়তে চেয়েছিলেন। এবার লক্ষ্মীকান্তও একই রাস্তায় হাঁটবেন না তিনি অন্য দলে যোগ দেবেন, তা নিয়েছে জল্পনা চলছে।
নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ অবশ্য উৎপলকে দল না ছাড়ার আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে হয়, ওঁর উচিত বিষয়টি মেনে নেওয়া। বিজেপি সবসময় পরিকর পরিবারকে শ্রদ্ধার চোখে দেখেছে।’ ভোটমুখী গোয়ায় কোনওভাবেই যাতে দলে না ভাঙন ধরে সেই জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিল বিজেপি। গোয়ার মন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আপনি কারও ছেলে বলে সবরকম ইচ্ছেপূরণ করা যায় না। গোয়ায় বিজেপির ভিত তৈরি করেছিলেন ওঁর বাবা। আমার মতে, ওঁর দলবিরুদ্ধ আচরণ করা উচিত নয়’।