বিগত কলকাতা পুরনির্বাচনের আগে ‘দশ দিগন্ত’ শিরোনামে ইস্তেহার প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এবার বিধাননগর, চন্দননগর এবং শিলিগুড়ির নির্বাচনী ইস্তেহারেও তা চোখে পড়ল। বিধাননগরের চিরকালীন সমস্যা জল নিকাশি এবং পানীয় জল সরবরাহের উপর জোর দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে। আগামী ২২শে জানুয়ারি চার পুরনিগমে ভোট। আর আগে শুক্রবার ইস্তেহার প্রকাশ করে তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সৌগত রায়-সহ অন্যান্যরা। এদিন রীতিমতো হঁশিয়ারির সুরেই সৌগত রায়কে বলতে শোনা যায়, “জোর করে ভোট করার চেষ্টা হলে শৃঙ্খলাভঙ্গের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের পুরভোটে বিস্তর উত্তেজনার প্রসঙ্গ উঠে এলে তিনি বলে দেন, “অতীতের কথা ছেড়ে দিন। যা হয়েছে আর হবে না। বিধাননগরে যা কাজ হয়েছে, জবরদস্তির দরকার নেই।” সুজিত বসুও বলেন, ২০১৫-র পরও তো আরও নির্বাচন হয়েছে এবং তা শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। এবারও তেমনই হবে।
পাশাপাশি, বিধাননগরে নিকাশি ব্যবস্থা যে একটা বড় সমস্যা, তাও স্বীকার করে নেন সুজিত বসু। আর সেই কারণেই এবার ইস্তেহারে নিকাশি ও পানীয় জল সরবরাহে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিধাননগরের বর্ধিত এলাকা রাজারহাট-গোপালপুরের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, তাঁরা বিধাননগরের মতো সমস্ত সুবিধা ও পরিষেবা পান না। সেই অভিযোগও এবার দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল। এদিকে চন্দননগরে পুরনিগমের নির্বাচনী ইস্তেহারেও নিকাশি ও নর্দমা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক পরিকাঠামো ব্যবস্থার উন্নতি, জল সরবরাহ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি, প্রশাসনিক জটিলতার সরলীকরণ-সহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে শাসক দলের তরফে। শিলিগুড়িতে জল সরবরাহের পাশাপিশ উন্নত সড়ক পরিকাঠামোর প্রতিশ্রুতিও রয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহারে।