সদ্যসমাপ্ত কলকাতা পুরভোটে ইস্তেহার প্রকাশ করেনি তৃণমূল। তার বদলে নাগরিক পরিষেবার উন্নয়নের রূপরেখা প্রকাশ করেছিল তারা। যার নাম ছিল ‘কলকাতার দশ দিগন্ত’। ঠিক একই ভাবে আসন্ন পুরনির্বাচনে ইস্তেহারের বদলে উন্নয়নের রূপরেখা প্রকাশ করল দল। এই রূপরেখার লক্ষ্য পরিষেবাকে আরও নাগরিকমুখী করা। শুক্রবার বিধানগর, শিলিগুড়ি ও চন্দননগর এই তিন জায়গার ইস্তেহার একই সময় প্রকাশে করেছে তৃণমূল। শিলিগুড়িতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। অন্য দিকে চন্দননগরে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল রায়, বিধাননগরে দলের ইস্তেহার প্রকাশে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায় এবং দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ।
উল্লেখ্য, কলকাতার মতো নাগরিক সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে তিন পুরসভাতেই চালু করা হবে ‘পাড়ায় সমাধান’ নামে বিশেষ অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে রাস্তা থেকে জলনিকাশি, যে কোনও সমস্যার ছবি ও তথ্য জিওট্যাগ সহ আপলোড করা যাবে। ইস্তাহারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ১৪ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে। জল নিকাশি ও অন্যান্য পরিষেবায় জোর দেওয়ার পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এলাকার পযর্টন ক্ষেত্রের উন্নয়নে। শিলিগুড়িতে জোড়াপানি, ফুলেশ্বরী এবং মহানন্দা নদীর ধারে নৌকবিহার, খাবারের স্টল এবং জগিং ট্রাক করা হবে। চন্দননগরেরও ঘাটগুলির উন্নয়নের পাশপাশি বা হেরিটেজ ভ্রমণেরও ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত ক্ষেত্রগুলিও নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে। বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কে শিল্পজেলা প্রকল্প কর্মসূচী রূপায়ণ করা হবে। এ ছাড়া স্থানীয় শিল্পীদের দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে পুর এলাকার রাস্তাগুলিকে।