ত্রিপুরার পর এবার ঘাসফুলের নজরে হরিয়ানা।
চলতি মাসের ১৪ তারিখ থেকে সে রাজ্যে শুরু হবে জনসংকল্প যাত্রা। নেতৃত্ব দেবেন অশোক তানোয়ার। চণ্ডীগড় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে এই কর্মসূচির কথা ঘোষিত হয়।
ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, কর্মসূচি ৬০ দিনের। এই ৬০ দিনে হরিয়ানার ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৪০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া হবে। কর্মসূচি রূপায়িত হবে চার থেকে পাঁচমাস। রাজ্যের ২৫ লক্ষ বাসিন্দার কাছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই পথে নামতে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ করা যেতে পারে, বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যেও এবার তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের শাখা-প্রশাখা বিস্তার লাভে তৎপর হয় উঠেছে। বিশেষ করে সেই সব রাজ্যকে তারা নির্বাচন করছে, যে সব রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরা পুরভোটের আগে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব সক্রিয় হয়ে ওঠে। গেরুয়া বাহিনীর চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ঘাসফুল শিবিরের একাধিক নেতাকে সেখানে সশরীরে হাজির থাকতে দেখা গিয়েছে। পাল্টা বাধা এসেছে শাসকদলের তরফ থেকে। কিন্তু তারপরেও তাদের দমিয়ে রাখা যায়নি।
এবার বিজেপি শাসিত হরিয়ানকে তারা তাদের জনসংকল্প কর্মসূচি যাত্রার জন্য নির্বাচিত করেছে। ধরে নেওয়া যেতে পারে শাসকশিবিরের প্রবল বাধার মুখে পড়তে হবে ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের। ত্রিপুরায় দলের ভিত অনেকটাই মজবুত। এবার তাদের টার্গেট বিজেপি শাসিত হরিয়ানা।