বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লীর একাধিক সীমানাগুলিতে ঘটমান কৃষক আন্দোলন স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছে কৃষকদের শক্তি ও দৃঢ়তা। দীর্ঘ ওই আন্দোলনের জেরেই কৃষকরা কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাধ্য করেছেন। কৃষি আইন বাতিলে কেন্দ্রীয় সরকারকে বাধ্য করার পর এবার বিজেপিকে রুখতে পাঞ্জাবের ভোটে প্রার্থী হচ্ছে আন্দোলনরত কৃষকদের একাংশ। তবে শুধুমাত্র পাঞ্জাবই নয়, বিভিন্ন কৃষক সংগঠন সূত্রের খবর, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে শীঘ্রই এই একই ছবি দেখা যেতে পারে অন্য ভোট-রাজ্যগুলিতেও। পাশাপাশি রবিবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা অভিযোগ করেছে, “প্রতিশ্রুতি দিলেও আন্দোলনরত কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপই নেয়নি সরকার।”
পাশাপাশি, এদিন কৃষক সংগঠনগুলি সাফ বুঝিয়ে দিয়েছে, মামলা প্রত্যাহার ইস্যুতে কেন্দ্রের উপর ক্রমাগত চাপ বৃদ্ধি করবে তারা। কিষাণ মোর্চার প্রশ্ন, “মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য কীসের অপেক্ষায় রয়েছে সরকার? ৭০০ জন কৃষকের মৃত্যুর কোনও দাম কি তাদের কাছে নেই?” রবিবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার কোর কমিটির সদস্য হান্নান মোল্লা বলেছেন, “কোনও রাজনৈতিক দল গঠনে কিংবা রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচারে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নাম ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হন অথবা কোনও কৃষক সংগঠন যদি আলাদাভাবে রাজনৈতিক দল তৈরি করে, তাহলে আমরা বাধা দেব না। বিজেপির অবস্থান যে কৃষক বিরোধী, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। ফলে নির্বাচনে আমাদের স্লোগানই হবে, বিজেপি হটাও।” আগামী ১৫ই জানুয়ারি দিল্লীতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকের পরই সুনির্দিষ্ট দিশা মিলবে এই বিষয়ে।