চণ্ডীগড় পুরভোটে দারুণ ফল করে গোটা দেশকে চমকে দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। বিজেপি এবং কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুরভোটে একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে এসেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হল না। শেষমেশ চণ্ডীগড় পুরসভার মেয়র পদ দখল করল সেই বিজেপিই।
প্রসঙ্গত, চণ্ডীগড় পুরসভার নির্বাচনে ৩৫ আসনের মধ্যে ১৪টি আসন জিতে প্রথম স্থানে উঠে এসেছিল আম আদমি পার্টি। শাসকদল বিজেপি পেয়েছিল ১২টি আসন। কংগ্রেস জেতে ৮টি আসন। একটি আসন যায় শিরোমণি অকালি দলের খাতায়। কিন্তু নির্বাচনের পরপরই কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর যোগ দেন বিজেপিতে। ফলে বিজেপির কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩। কংগ্রেসের কমে দাঁড়ায় ৭-এ।
নিয়ম অনুযায়ী এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির পুরনিগমের মেয়র নির্বাচনের সময় কাউন্সিলরদের পাশাপাশি ভোট দিতে পারেন স্থানীয় সাংসদও। শনিবার মেয়র নির্বাচনে কংগ্রেসের ৭ এবং অকালি দলের এক কাউন্সিলর অনুপস্থিত ছিলেন। যার ফলে পুরসভার মোট আসনসংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২৭। সেই সঙ্গে একজন সাংসদের ভোট যোগ করে দাঁড়ায় ২৮।
হিসাব মতো আম আদমি পার্টির খাতায় নিজেদের ১৪ জন কাউন্সিলরের ভোট যাওয়ার কথা। বিজেপির খাতাতেও ১৩ জন কাউন্সিলর এবং সাংসদ মিলিয়ে মোট ১৪টি ভোট যাওয়ার কথা। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার সময় প্রিসাইডিং অফিসার আপের এক কাউন্সিলরের ভোট বাতিল বলে গণ্য করেন।
ফলে ১৪-১৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে মেয়র নির্বাচিত হন বিজেপির সরবজিৎ কৌর। যদিও এই ফলাফল মেনে নিতে নারাজ আপ। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপি যেভাবে জিতল সেটা লজ্জাজনক। ভোট গণনা অন্তত সঠিকভাবে হওয়া উচিত ছিল।