আতঙ্কের নয়া নাম ওমিক্রন। দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কাকে সত্যি করে দিয়েছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। ক্রমশই আরও চওড়া হচ্ছে তার থাবা। এই আবহেই ফের একবার দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দেশে। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেখে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ রুখতে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সব বুথই গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থিত থাকবে। এক একটি বুথে সর্বোচ্চ ১২৫০ ভোটার থাকবে। এর জেরে গতবারের তুলনায় পোলিং বুথের সংখ্যা বেড়েছে ১৬ শতাংশ। পাঁচ রাজ্যে মোট ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৬৮টি বুথ থাকবে। প্রতিটি বুথে মাস্ক পরে থাকতে হবে ভোটকর্মীদের। ভোটারদেরও মাস্ক পরে ভোটদান করতে যাওয়া বাধ্যতামূলক। তাছাড়া বুথে স্যানিটাইজার, থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি ভোটের সময়কাল এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে।
কোভিড আক্রান্ত বা ৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধ ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা থাকবে। তাছাড়া প্রার্থীদের অনলাইনেই মনোয়ন জমা দেওয়ার সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বান কমিশন। সাধারণত দেখা যায়, মনোয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থী বিশাল পথসভা করে অনুগামীদের সঙ্গে যান। সেই জনসমাগম রুখতেই এই পদক্ষেপ। পাশাপাশি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভায় সব নিয়ম মানা হচ্ছে কি না, তা নিশঅচিত করতে ৯০০ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীতে আরও বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে।
পাশাপাশি করোনা নিয়ম পালন করে প্রচারের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে নির্বাচনের কমিশনের তরফে। ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করার জন্য প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলকে ‘পরামর্শ’ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কোনও রোড শো, পদ যাত্রা, বাইক ব়্যালি করা যাবে না ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ঘোষণা করা হবে। রাত ৮টা থেকে আগামী দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। পরে কোনও সভার অনুমতি দেওয়া হলে রাজনৈতিক দলগুলিকে সভায় আগতদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়া যাবে।
তাছাড়া দরজায় দরজায় গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচজন যোগ দেওয়া হবে। এই নিয়ম ভাঙলে বিপর্যয় মোকালিবা ইনের অধীনে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান মুখ্য নির্বাচক কমিশনার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানান, করোনা আবহে সব ভোটকর্মীদের কোভিড যোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এবং ভোটকর্মীদের করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ (প্রিকশনারি ডোজ) দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে সাধারণ মানুষের টিকার গতি বাড়ানোর কথাও বলেছেন তিনি।