উত্তরপ্রদেশে রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নৈশকালীন কার্ফু পুনর্বহাল করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। কোভিড ১৯ ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়ে দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা জিইয়ে তোলায় একই রাস্তায় হাঁটছে আরও কিছু রাজ্য। এ নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুললেন বিজেপিতে থেকেও কৃষি আইন থেকে শুরু করে একাধিক প্রশ্নে দলের লাইনের বাইরে হাঁটা বরুণ গান্ধী।
যোগী রাজ্য সহ একাধিক রাজ্যে নৈশ কার্ফুর সিদ্ধান্তের বিচক্ষণতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বরুণ টুইট করেছেন, রাতে কার্ফু চাপিয়ে দিনের বেলায় লাখ লাখ লোককে নিয়ে সমাবেশের ডাক দেওয়া-এটা সাধারণ মানুষের বোধের অগম্য। নাম না করে যোগীকে কটাক্ষের সুরে তিনি লিখেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার সীমিত ক্ষমতা বিবেচনা করে আমাদের সততার সঙ্গে ঠিক করা উচিত, ভয়ঙ্কর ওমিক্রনের সংক্রমণ রোখা না নির্বাচনে ক্ষমতা দেখানো, কোনটা অগ্রাধিকার পাবে’! নৈশকালীন কার্ফুর প্রভাব খুবই সীমিত বলে সওয়াল করে তিনি বলেন, বেশিরভাগ সংক্রমণ কিন্তু দিনেই হয়, রাতে রাস্তায় এমনিতেই লোক কম বেরয়। সামাজিক অনুষ্ঠানে লোকজনের ভিড় অবশ্যই বন্ধ করা উচিত কেননা ওগুলি কোভিড ১৯ এর ক্লাস্টার হয়ে উঠতে পারে।
পিলিভিটের এমপি যখন একথা বলছেন, তার দিনকয়েক আগেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর কুমার যাদব ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধির উল্লেখের পাশাপাশি সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ‘কঠোর পদক্ষেপ করতে’ ও ‘মিছিল, সভা-সমাবেশ, প্রচার এমনকী নির্বাচন বন্ধ রাখা’র কথা ভেবে দেখতে বলেছেন। নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে বরুণ এবছর মহারাষ্ট্র সরকারকে কেন্দ্রের পাঠানো বার্তার উল্লেখ করেন। বলেন, ২০২১ এর মার্চে মহারাষ্ট্রকে পাঠানো কেন্দ্রের নোটে বলা হয়, নৈশকালীন কার্ফু, সপ্তাহশেষের লকডাউনের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ বা রোধে খুবই কম প্রভাব পড়ে। সুতরাং প্রশাসনকে কন্টেনমেন্ট স্ট্র্যাটেজিকে কঠোর ও কার্যকরী উপায়ে কাজে লাগাতে হবে। নীতি প্রস্তুতকারীদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ঘরে থাকা সাধারণ মানুষকে ভরসা জোগানো উচিত বলেও অভিমত জানান তিনি।