আগামী ২৮শে ডিসেম্বর কলকাতার মহানাগরিক পদে শপথ নেবেন ফিরহাদ হাকিম। তার আগে শুক্রবার কাউন্সিলর হিসেবে শপথ নেন তিনি৷ তাঁর সঙ্গেই দলের অন্য কাউন্সিলররাও শপথ নিলেন৷ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পরই ফিরহাদ হাকিম জানান, শহরের উন্নয়নে দশ দফা কর্মসূচীকে সামনে রেখে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে৷ তবে সেই ১০ দফা কর্মসূচী কী কী, তা এদিন খোলসা করেননি তিনি৷ ২৮শে ডিসেম্বর শপথগ্রহণের পর এব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন বলে ঘোষণা ফিরহাদের৷ আগামী মঙ্গলবার শপথগ্রহণের পরই নতুন মেয়র পরিষদের প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা৷ সেই বৈঠকেই ওই দশ দফা কর্মসূচীর রূপায়ন নিয়ে মেয়র তাঁর চিন্তা-ভাবনার কথা জানাবেন৷ উল্লেখ্য, গত ১১ই ডিসেম্বর একটি পুস্তিকার মোড়কে দশ দিগন্ত নামে ইস্তাহার প্রকাশ করেছিল তৃণমূল৷ তাতে উন্নয়নের কর্মসূচীর একটি প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়েছিল৷ কলকাতা প্রধান সমস্যা জল নিকাশি এবং পানীয় জল৷ এখনও দক্ষিণ তল্লাটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এমন অনেক এলাকা আছে, যেগুলির চেহারা প্রায় গ্রামের মতো৷ ওই সব ওয়ার্ডে তো বটেই, এমনকী মূল কলকাতার অনেক এলাকাতেও একটু ভারী বৃষ্টি হলে জল জমে যায়৷ অনেক এলাকা থেকে সেই জল নামতে দীর্ঘ সময়ও নেয়৷ নতুন পুরবোর্ডের কাছে জল জমার সমস্যা সমাধান গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য৷
পাশাপাশি, এছাড়া শহরের নিকাশি ব্যবস্থা খুব পুরনো বলে জমা জল সরতে সময় লাগে৷ যে সব খাল দিয়ে শহরের জল বেরিয়ে যায়, সেই সব খালও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয় না৷ অনেক খালের দু’পাশেই বেআইনি ঝুপড়ি গজিয়ে ওঠায় সমস্যা আরও বেড়েছে৷ সেই সমস্যার সমাধানেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেবে নতুন বোর্ড৷ একই সঙ্গে বেশ কিছু ওয়ার্ডে পানীয় জলের সংকট রয়েছে৷ মাথায় রাখতে হবে সেই সমস্যাও৷ এছাড়া বেআইনি নির্মাণ, বিপজ্জনক বাড়ি, ভাঙাচোরা ফুটপাথের দিকেও নতুন বোর্ডকে নজর দেবে। বৃহস্পতিবার পুরসভার দলনেতা নির্বাচনের বৈঠকেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন বোর্ডকে কাজ করে দেখাতে হবে৷ কলকাতাকে সেরা করে তুলতেই হবে৷ কাউন্সিলরদের এবং মেয়র পরিষদকে একেবারে প্রথম থেকেই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে৷ কাজ না করলে যে সমস্যায় পড়তে হবে, নেত্রী তাও স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন৷ ওই বৈঠকের পর ফিরহাদও জানিয়েছেন, দলনেত্রীর পরামর্শ এবং নির্দেশ মেনেই তিনি কাজ করবেন তিনি।
