ভোটের লড়াই জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। জিতলেনও। প্রায় সাড়ে ছ’হাজার ভোটে। জীবনে প্রথম বার ভোটে লড়তে নেমেছিলেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁর পারিবারিক পরিচয় মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ। এবারের পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দেখা গিয়েছিল তাঁর ঘরের ওয়ার্ডে মমতা প্রার্থী করেছেন তাঁর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরীকে। নাম ঘোষণার পরদিনই প্রচার শুরু করে দেন কাজরী। টিকিট না পেয়ে অসন্তষ্ট হয়ে ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর রতন মালাকার নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন। কিন্তু শেষমেশ তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যস্থতায় মনোনয়ন প্রত্যাহারও করেন তিনি। কাজরীর হয়ে কালীঘাট মোড়ে প্রচারসভায় বক্তৃতা করে ভ্রাতৃবধূর মনোবল বাড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে মমতা প্রথম বার যাদবপুর থেকে লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী হন। সেই ভোটে সিপিএমের হেভিওয়েট প্রার্থী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করে শুরু হয়েছিল তাঁর সংসদীয় রাজনীতির জীবন। সেই ঘটনার ৩০ বছর পর লোকসভা ভোটে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দ্বিতীয় সদস্য হিসেবে ডায়মন্ডহারবার থেকে ভোটে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে তিনি দ্বিতীয় বার জিতে সাংসদ হয়েছেন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের সাফল্যের পর তাঁকে করা হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অতঃপর ২০২১ সালের কলকাতা পুরভোটে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন কাজরী জানিয়েছিলেন, কখনও ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও ১৯৯৫ সাল থেকে স্বামী কার্তিকের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নানা ভোটে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সেই অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করেই তাঁর এই ভোটযুদ্ধের ময়দানে নামা।