‘দেশে বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সেরা’, পুরভোটের আগে এমনই মন্তব্য করলেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার তৃণমূলের প্রচারে দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে। যা ঘিরে আলোড়ন শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। তারই জবাবে অভিনেতা বলেন, ‘আমাকে অতীতে কখনও রাজনৈতিক দলের প্রচারে দেখা যায়নি। আর ভবিষ্যতেও দেখা যাবে না। তবে আমি যে বিজেপি বিরোধী সেই বিষয়টি সকলেই জানেন। এর আঁচও আগে মিলেছে। বরাবরই প্রকাশ্যে এ কথা আমি জানাই। আমি মনে করি এই মুহূর্তে দেশে যে ক’টি বিজেপি বিরোধী শক্তি রয়েছে তার মধ্যে তৃনমূলই আদর্শ বিকল্প। সর্বভারতীয় স্তরেও বিজেপি বিরোধী যে ক’টি মুখ রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সেরা।’
রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গতকালের মিছিলে একেবারে ব্যক্তিগত জায়গা থেকেই গিয়েছিলাম। তার মানে এই নয় যে আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি বা প্রার্থী হব। তা নয়। অনেকেই রাজনীতিকে পেশা হিসেবে দেখেন। আমি রাজনীতিকে সেভাবে দেখি না। আর বিভিন্ন বিষয়ে তৃণমূলের সমালোচনাও করেছি, ভবিষ্যতেও করব। তবে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে তৃণমূলই বিকল্প।’
তাঁর সংযোজন, ‘অরূপ বিশ্বাসকে টালিগঞ্জ সূত্রে চিনি। ওঁর সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে গিয়েছিলাম গতকাল। তিনি মানুষের পাশে দাঁড়ান, সেটা নিজের চোখে দেখেছি। আর অরূপ চক্রবর্তী, মনে যাঁর ওয়ার্ডে আমি গিয়েছিলাম তাঁকেও চিনি। তিনি একজন শিক্ষিত যুবক। আমি মনে করি, নতুন প্রজন্মের এই ধরনের মুখের প্রয়োজন রয়েছে রাজনীতিতে। তাই তাঁকে সমর্থন করে ব্যক্তিগত জায়গা থেকেই ওই প্রচারে যোগ দিয়েছিলাম।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার কলকাতা পুরভোটের প্রচারের শেষদিন ছিল।ওইদিন অরূপ চক্রবর্তীর হয়ে প্রচারে নামতে দেখা গিয়েছে পরমব্রতকে। এর আগে কখনওই রাজনৈতিক মিছিলে পা বাড়াননি অভিনেতা তথা পরিচালক। কিন্তু, এবারে তিনি আচমকাই ব্যতিক্রমী ভূমিকা নেওয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। অনেকেই এ নিয়ে বিভিন্ন মতামতও দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আসলে অভিনেতাকে অনেকে বামমনস্ক হিসেবে জানতেন তবে পরমব্রত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিজেপি বিরোধী। ফলে পুরসভা কিংবা লোকসভা সবক্ষেত্রেই গেরুয়া ঝড় প্রতিহত হোক, সেটাই চান তিনি। আর সেক্ষেত্রে তাঁর ভরসা মমতায়।
