‘তৃণমূলের কোনও বিপক্ষ নেই। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।’ কলকাতা পুরভোটের আগে কলকাতায় এসে এমনই মন্তব্য করলেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এদিকে শাসক দলে বিরুদ্ধে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলছে বিজেপি, সিপিএম। এই প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, ‘পাগলে অনেক কিছু বলে। কলকাতার সব আসনে জিতবে তৃণমূল।’
২০১০ সালের ৫ মার্চ বীরভূমের মঙ্গলকোট থানা এলাকায় মল্লিকপুরে দু’টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। অভিযোগ সেই সংঘর্ষে তৃণমূলের তরফে অনুব্রত মণ্ডল নেতৃত্বে দিয়েছিলেন।
আদালতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে পুরনো মামলাটি। এ দিন বিধান নগর আদালতের এমপি এমএলে আদালতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। পাশাপাশি ডাকা হয়েছিল এই মামলার সাক্ষীদেরকে।
বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই সভা থেকে অনুব্রত বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে ঠকান না, আর ঠকাবেনও না। এই মহম্মদবাজার, সোনার মহম্মদবাজার হবে।’ তাঁর দাবি ডেউচা পাঁচামিতে কয়লা খনি হলে এক লাখের বেশি মানুষের চাকরি হবে।
শুক্রবার এক রাজনৈতিক সংঘর্ষের মামলার বিষয়ে হাজিরা দিতে কলকাতায় এসেছিলেন অনুব্রত। মঙ্গলকোট থানা এলাকার মল্লিকপুরে একটি রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় নাম জড়িয়ে ছিল বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। এদিন সেই মামলায় বিধাননগরের এমপি এমেএলে আদলতে আসেন তিনি।
আদালতে হাজিরার পরে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অনুব্রত। নানা প্রশ্নের উত্তরে তিনি ফের তৃণমূলের উন্নয়নের প্রসঙ্গ উত্থাপত করেন। কলকাতা পুরভোট প্রশ্ন করা হলে অনুব্রত জানান, প্রতিটা আসনেই তৃণমূল জিতবে। ‘তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ কে?’ প্রশ্ন করা হলে অনুব্রত তুলে বলেন, ‘এই মুহূর্তে কেউ নেই।’
বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে অনুব্রতর স্পষ্ট জবাব, ‘পাগলে অনেক কিছু বলে।’ উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই নির্বাচন লড়বে তৃণমূল। গত ৩৪ বছরে কলকাতার জলযন্ত্রণা অনেক কমে গিয়েছে বলেও দাবি করেন এই দাপুটে নেতা। নির্বাচনে অনুব্রত দলের অন্যতম কাণ্ডারি।