ফের বিতর্ক যোগীরাজ্যকে ঘিরে। শ্লীলতাহানির ঘটনায় সুবিচার পাওয়া যায় না বলেই অভিযোগ বহু নির্যাতিতার পরিবারের। তাই স্বাভাবিকভাবেই কেউ কেউ প্রশাসনের উপর আস্থা হারান। উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে এবার সেই ঘটনারই ছায়া। প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে শ্লীলতাহানির ঘটনায় নিজের হাতেই আইন তুলে নিলেন নির্যাতিতার পরিচিতরা। তিন কিশোরকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করলেন তাঁরা। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এক তরুণী বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় অন্য এলাকার তিন কিশোর তাঁর শ্লীলতাহানি করে। তরুণী সেকথা সকলকে জানিয়ে দেবেন বলে জানান। লোক জানাজানি হলে তরুণীকে খুনের হুমকিও দেয় বলেই অভিযোগ। রাতবিরেতে রাস্তায় এমন ঘটনার সাক্ষী হবেন, তা কল্পনাও করেননি তরুণী। তাই স্বাভাবিকভাবেই হতচকিত হয়ে যান তিনি। প্রায় দৌড়ে বাড়ি ফেরেন তরুণী। তাঁকে দেখে অবাক হয়ে যান তরুণীর বাবা। প্রথমে কিছুই বলতে চাননি তরুণী। পরে যদিও গোটা ঘটনাটি জানান তিনি।
নিজের মেয়ের হেনস্থার কথা শুনে নিজেকে সামলাতে পারেননি তরুণীর বাবা। সোজা থানায় যান। ওই তিন কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবং ৩২৩ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়। এদিকে, তরুণীর শ্লীলতাহানির কথা জেনে ফেলেন প্রায় সকলেই। ওই তিন নাবালককে ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয় তাদের। প্রায় কয়েকঘণ্টা ধরে চলে মারধর। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যারা মারধর করেছে তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ৩৪১, ৩২৩, ৫০৪ এবং ৫০৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ সুপার অখিলেশ বাহাদুরিয়া জানান, “আপাতত ওই তিন নাবালক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”