বঙ্গ বিজেপির অস্বস্তি ফের বাড়িয়ে দিলেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম প্রধান মহিলা মুখ তথা রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা পুরভোটের মাত্র চারদিন আগে দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিস্ফোরক সাংসদ জানালেন তিনি একজন নগন্য কার্যকর্তা। একই সঙ্গে জানালেন দুর্ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের পরিবারের সঙ্গে আছেন তিনি। লিখলেন, ‘আমার তো আর হোর্ডিং লাগাবার মতো ক্ষমতা নেই – থাকলে তোদের দু-জনের ছবি টাঙিয়ে বলতাম- আমি তিস্তার সঙ্গে আছি, থাকব’।
প্রয়াত বিজেপি কাউন্সিলরকে নিয়ে রূপার এই অবস্থান অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও বিজেপি-র ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে চলে যান এই তিস্তা ও গৌরবের ইস্যুতেই। তা নিয়ে বিস্ফোরক পোস্টও করেন তিনি। ফের ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করে সাংসদ লিখলেন তিনি দলের নগন্য কার্যকর্তা! এখন রাজ্যসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলছে। সেই কারণে এখন দিল্লীতেই আছেন রূপা। সেখান থেকেই একটি নোট লিখেছেন তিনি। সেটি ফেসবুকে পোস্ট করার পর সঙ্গে লিখলেন, ‘অনেক স্মৃতি ভিড় করে আসছে। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনের কথা এসে ভিড় করছে। আমাকে অনেক শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল তখন। আজ আমি স্বীকার করি, আমি হয়ত রাজনীতির লোক নই। দল আমাকে তাড়াতে পারে, শো-কজ করতে পারে, সাসপেন্ড করতে পারে, কিন্তু দল থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করতে পারে না’।
তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরবকে উদ্দেশ্য করে এই চিঠিতে রূপা লেখেন, ‘আমার তো আর হোর্ডিং লাগাবার ক্ষমতা নেই। থাকলে তোদের দু’ জনের ছবি টাঙিয়ে বলতাম আমি তোদের সঙ্গে আছি। থাকব’। তার পর নিজেকে নগন্য কার্যকর্তা বলে রূপা লেখেন যে রাজ্য পুলিশের সাহায্যে তিনি ৩০ থেকে ৩৫ খুনি, ধর্ষকদের গ্রেফতার করিয়েছেন। এবং সেটা করেছেন ‘শান্ত ও ভদ্র আন্দোলনের’ মাধ্যমে। তার পর রূপা এও যোগ করেন, ‘তাই তো আমাকে তাড়াতে হয়’।