আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হিসেবে ভারতে আসছেন লস এঞ্জেলিসের মেয়র এরিক গারসেত্তি। মার্কিন সেনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটির সদস্যরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, রাষ্ট্রদূত হিসাবে ভারতে তাঁর প্রধান কর্তব্য কী হবে। গারসেত্তি বলেন, ‘আমেরিকার নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য যে দেশগুলি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ভারত তাদের মধ্যে অন্যতম। ওখানে গিয়ে মানবাধিকারের প্রসঙ্গ তুলব’।
গারসেত্তি জানিয়েছেন, ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যাতে অবাধ ও মুক্ত পরিবেশ বজায় থাকে, সেজন্য তিনি চেষ্টা করবেন। ভারতের সীমান্ত যাতে সুরক্ষিত থাকে, তারা যাতে নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে, যে কোনও আগ্রাসন ঠেকাতে পারে, সেজন্য আমেরিকা উদ্যোগ নেবে।
ভারতে মানবাধিকার পরিস্থিতি তথা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে গারসেত্তিকে প্রশ্ন করা হয়। তিনি জানান, তাঁর মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনে ডিগ্রি আছে। ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠবে মানবাধিকার। গারসেত্তির কথায়, ‘মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষাই হল আমাদের বিদেশনীতির দু’টি স্তম্ভ। আমি ভারতে গিয়ে সেখানকার নাগরিক সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব’।
গারসেত্তি জানান, বাল্যকালে তিনি একবার ভারতে গিয়েছিলেন। পরে ১৯৯০ সালে ভারতে তৎকালীন মার্কিন দূত উইলিয়াম ক্লার্কের অতিথি হিসাবে ভারতে গিয়েছিলেন। মার্কিন দূতের ছেলে ছিলেন কলেজে গারসেত্তির রুমমেট। লস এঞ্জেলিসের মেয়র জানান, ভারতে আসার পরে তিনি হিন্দি ও উর্দু শিখতে আগ্রহী হন। সেইসঙ্গে ভারতের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস নিয়েও পড়াশোনা করেন।