চলতি বছরের বিগত আগস্ট ও অক্টোবর মাসে ঝাড়খণ্ডের ছাড়া জলে দু’বার ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। গোটা ঘটনাকে ‘ম্যান ম্যাড বন্যা’ বলে আখ্যাও দেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। জল ছাড়ার বিষয়ে ঝাড়খণ্ড সরকারকে আলোচনায় বসার আহ্বানও জানান মমতা। কিন্তু সদুত্তর না মেলায় এ বার এই দাবিতে লোকসভায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার জিরো আওয়ারে সুদীপ বলেন, “ডিভিসির জল ছাড়ার কারণেই বাংলায় প্রতি বছর একাধিক বার বন্যা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে ‘ম্যান ম্যাড বন্যা’ বলেছেন। আমিও তেমনটাই মনে করি। ঝাড়খণ্ড সরকার আলোচনা না করেই লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ে। এর ফলে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলা। আমাদের জানিয়ে জল ছাড়লে আমরা সময় থাকতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।” পাশাপাশি এই বিষয়ে স্পিকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, অক্টোবরে আরামবাগে বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার পর মমতা অভিযোগ করেছিলেন, সময়মতো বাঁধগুলি সংস্কার করলে বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হত না। কেন্দ্রীয় সরকার এবং ঝাড়খণ্ড সরকারকে আলোচনায় বসার আহ্বানও জানান মমতা। মাইথন, পাঞ্চেতে ড্রেজিং করা হয় না বলেও অভিযোগ তোলেন মমতা। নবান্ন সূত্রে খবর, অক্টোবরে একদিন ডিভিসি রাত তিনটের সময় রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই জল ছেড়েছে। সব মিলিয়ে সাড়ে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়। জুলাই মাসে ১ লক্ষ ১২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। সেখানে অক্টোবরে মাত্র দু’দিনে সাড়ে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলী, বীরভূমের বেশ কয়েকটি ব্লক প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় মোট ১ লক্ষ বাড়ি।