চলতি সপ্তাহেই সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির সাক্ষরের পর আইন প্রত্যাহার আর কোনও সমস্যাও নেই। তবুও একাধিক ইস্যুতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। বৃহস্পতিবার, কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা কৃষকদের সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেন্দ্রের দেওয়া চাপের কারণেই এখনও তারা প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রে তাদেরকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে বকেয়া দাবিগুলি পূরণের চেষ্টা করছে বলেই জানিয়েছে কৃষকদের এই সংগঠন।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, সরকার যদি আন্দোলনের সময়ে মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও ফসল বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান নিয়ে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করলে তাঁরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে রাজি। বিবৃতিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, ‘কৃষকদের সঙ্গে কোনও রকমের কথা বার্তা না বলেই তাদেরকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বাধ্য করছে কেন্দ্র। কেন্দ্র তাদের দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে দীর্ঘদিনের একটি লড়াই শেষ হয়েছে। আন্দোলন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে প্রথমবার যুদ্ধে জিতেছে কৃষকরা’।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংসদে পাশ হওয়ার পর তিন কৃষি আইন তৈরি হয়েছিল। আর তারপর থেকেই কৃষকদের একটি অংশ বিক্ষোভ শুরু করেছিল। আইন পাশের বিরোধিতা করে দীর্ঘ এক বছর ধরে দিল্লী সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কৃষকরা একাংশ। কেন্দ্রের তরফে একাধিকবার বিক্ষোভরত কৃষকদের এই আইনগুলির সুবিধার কথা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এরই মধ্যে গুরু নানকের জন্মজয়ন্তীতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।