গোটা বিশ্ব চেনে তাঁকে। সেই কবে ওয়ার ফটোগ্রাফার স্টিভ ম্যাককারি তুলেছিলেন সবুজ চোখের আফগান কিশোরীর মুখ। সেই থেকেই সারা পৃথিবীতে আফগান নারীর এক প্রতীকস্বরূপ হয়ে উঠেছেন শরবত গুল্লা। সেই শরবত গুল্লা এবার তালিবানি শাসনে ধ্বস্ত আফগানিস্তান ছেড়ে উড়ে গেলেন ইটালি। সেখানেই বসত গড়বেন তিনি। তাঁকে সবরকম সাহায্য করতে রাজি ইটালি প্রশাসন।
সেই সঙ্গে চলছে তালিবানি জুলুমও। বিশেষ করে বিপণ্ণ নারীরা। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান ছেড়ে পালানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছে।
আমেরিকার পাশাপাশি পশ্চিমি যে দেশগুলি আফগানদের নিজেদের দেশে আশ্রয় দিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম ইটালি। এবার তাদের তরফেই শরবতকে রোমে আসার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সবুজ চোখের শরবতের ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে আফগান ইতিহাসের সংঘর্ষ ও অস্থিরতার অধ্যায়ের এক প্রতীক। নানা অলাভজনক সংস্থার মাধ্যমে শরবতের আরজি কাছে পৌঁছতেই সাড়া দেয় তারা। দ্রুত তাঁকে আফগানিস্তান ছেড়ে ইটালিতে নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করা হয়।
১৯৮৪ সালে ‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক’ পত্রিকার প্রচ্ছদে ছাপা হয়েছিল কিশোরী শরবতের মুখ। মুহূর্তে তিনি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যান। পরে ২০০২ সালে ফের তাঁকে খুঁজে বের করেন ম্যাককারি। ২০১৪ সালে দেশ ছেড়ে পাকিস্তানে চলে যান শরবত।
কিন্তু সেখানে তাঁর অভিজ্ঞতা খুব সুখকর নয়। ভুয়ো পরিচয়পত্র রাখার অভিযোগ তোলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরই তিনি ফের ফিরে আসেন নিজের দেশে। সেই সময় খোদ প্রেসিডেন্ট নিজের প্যালেসে একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। তাঁর হাতে তুলে দেন নতুন অ্য়াপার্টমেন্টের চাবি।
গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবান। তারপর থেকেই সেদেশ নিয়ে সারা বিশ্বের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে দ্রুত ফুরিয়ে যেতে বসেছে খাদ্য ও অন্যান্য জীবনদায়ী রসদ। বিধ্বস্ত সেদেশের অর্থনীতি।