২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরভোট। প্রচারের জন্য সে রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। এর মধ্যে একাধিকবার পুলিশি জুলুমের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সায়নী ঘোষকে ‘আটক’ করতে আগরতলার হোটেলে হানা দিল পুলিশ।
ত্রিপুরা পুলিশের দাবি, শনিবার রাতে সায়নী ঘোষের গাড়ির ধাক্কায় একজন আহত হয়েছেন। সেই সূত্রেই তাঁকে খুঁজতে হোটেলে হাজির হয় পুলিশ। সায়নী-সহ বাকি তৃণমূল নেতারা সেখানেই পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাতে সমস্যা মেটেনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়নী ঘোষকে আটক করতে চায় বিপ্লব দেবের পুলিশ। বাধা দেন কুণাল ঘোষ। পুলিশকে আগে নোটিশ দিতে হবে বলে দাবি করেন তিনি। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন সুস্মিতা দেবও।
কুণাল ঘোষের দাবি, ‘বিজেপি ভয় পেয়েছে, তাই বারবার পুলিশ পাঠাচ্ছে, গুণ্ডা পাঠাচ্ছে। পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছে ওঁরা। তবে আমরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে থানায় যাব। কেন ডেকেছে দেখব’। সায়নী ঘোষের দাবি, ‘আমরা তো পালিয়ে বেরাতে আসিনি। চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে এসেছি। তাই ডেকেছে যখন থানায় অবশ্যই যাব’। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সায়নীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন কুণাল ঘোষ এবং সুস্মিতা দেব।
বিগত কয়েকদিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ত্রিপুরার পরিস্থিতি। গতকালই আগরতলা পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রনগরে তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবের হয়ে প্রচারে করছিলেন ফিরহাদ হাকিম ও বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের সভা চলাকালীন তাদের মঞ্চের মাইক ও আলো বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অথচ ওই সভার পাশেই বিজেপির সভায় আলো, মাইক সবই ছিল। শুধু তাই নয়, আগরতলা পুরসভায় দশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবকেও আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে৷