পুরভোটের আগে উত্তপ্ত ত্রিপুরা। রবিবার সকাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তৃণমূলের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করল পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গাড়ি চাপা দিয়ে একজনকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই গ্রেফতারিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তোপ দেগেছেন কুণাল ঘোষ।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। ভোটের প্রচার সেরে ফেরার পথে সায়নীর গাড়ি একজনকে চাপা দেয় বলে অভিযোগ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। এরপর রবিবার সকালে সায়নীর খোঁজে পোলো টাওয়ার হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। তাঁদের দাবি, শনিবার রাতে সায়নী ঘোষের গাড়ির ধাক্কায় একজন জখম হয়েছেন। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়নীকে আটক করা হবে।
সেই সময় পুলিশকে বাধা দেন কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, একজন মহিলাকে এভাবে তোলা যায় না। এ জন্য পুলিশকে আগে নোটিশ দিতে হবে বলে দাবি করেন কুণাল।একই সঙ্গে সায়নীকে নিয়ে তাঁরা থানায় যাবেন বলেও জানান। সেই অনুযায়ী কিছুক্ষণ পর সায়নীকে নিয়ে কুণাল, সুস্মিতা ও তৃণমূলের নেতারা হাজির হন থানায়। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই লাঠি নিয়ে একদল দুষ্কৃতি সেখানে জড়ো হন। থানার বাইরে থাকা ত্রিপুরা তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়িতে চলে নির্বিচারে ভাঙচুর। সঙ্গে সেখানে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদরে লক্ষ্য করে পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে ঘটনস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। লাঠিচার্জ করে তাঁদের হটিয়ে দেওয়া হয়।
এর কিছুক্ষণ পরই সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারা অর্থাৎ খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হওয়ায় রবিবার রাতে থানার লকআপেই কাটাতে হবে যুব সভানেত্রীকে। এই গ্রেফতারিতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। টুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়ে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করল সায়নী ঘোষকে। ধিক্কার ত্রিপুরা সরকার। থানায় হামলাকারীরা গ্রেফতার হল না। গ্রেফতার হল সায়নী’।