ত্রিপুরায় পুরভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। এবার বাংলার তৃণমূল বিধায়ককে আশ্রয় দেওয়ায় হোটেল মালিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, “হেরে গিয়েছে বুঝেই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে বিজেপি। এবার হোটেল মালিকদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার তেলিয়ামুড়ার এক হোটেলে রয়েছেন বাংলার তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। ত্রিপুরার পুরভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতে গিয়েছেন তিনি। অভিযোগ, যে হোটেলে তিনি থাকছেন, সেখানকার মহিলা মালিককে হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। বিধায়ককে হোটেল থেকে বের করে দিতে বলছে। শুক্রবার রাতে হোটেলে গিয়ে কিছু দুষ্কৃতী মালিককে হুমকি দেয় বলে খবর। এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আশিসলাল সিংহ জানান, দলের তরফে পুলিশ সুপার, এসডিপিও-সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তাকে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কথাও তাঁদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে ত্রিপুরা সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভোটের আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিরাপদে প্রচার করতে দিতে হবে। যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে প্রার্থীদের। নির্বাচনও যাতে অবাধ, সুষ্ঠুভাবে হয়, সেই দায়িত্বও বিপ্লব দেব সরকারেরই। ত্রিপুরায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে তৃণমূলের দায়ের করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একথা জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেও অবশ্য সে রাজ্যে হিংসা কমছে না বলেই অভিযোগ উঠেছে। কখনও তৃণমূলের ভোট কুশলী সংস্থা আই প্যাকের কর্মীদের ঘরবন্দী করে দেওয়া হয়েছে তো, কখনও আবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা হয়েছে। এখন আবার তৃণমূলের প্রচারকদের রাখায় হোটেল মালিক, গাড়ি চালকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষের জানান, “বাংলার ভোটের সময় তো প্রতিদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা নিত্য আসা যাওয়া করতেন। বাংলার একাধিক হোটেলে থাকতেন তাঁরা। সেইসময় তৃণমূল কিন্তু এমন কাজ করেনি। আসলে ত্রিপুরা বিজেপি ভয় পাচ্ছে। তাই এমন আচরণ করছে।”