মিলল না কোনো সুরাহাসূত্র। মঙ্গলবার দিল্লী থেকে এসে শিলিগুড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বালাসন সেতুর স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে নির্বিকার রইলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র রাজু বিস্তা। প্রায় তিনসপ্তাহ আগে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সময়ে তিনি পরিদর্শনে এসে বলেছিলেন, এই সেতু ভেঙে যাওয়ায় এবার বালাসন থেকে সেবক পর্যন্ত ফোরলেনের কাজ শুরু হবে। বালাসনের উপর নতুন সেতুও তৈরি হবে। এ কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকারের সেই অর্থ অনুমোদনের ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁর ঘোষণা মতো সেই কাজ শুরুর ব্যাপারে এখনও কোনও তৎপরতা শুরুই হয়নি। কেননা কেন্দ্র টাকা দিলে রাজ্য সরকার এ কাজ শুরু করবে। উল্লেখ্য, সেতু বন্ধ থাকার কারণে মানুষের সমস্যা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে এদিন শিলিগুড়িতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজনৈতিক বিষয়ে একাধিক বিবৃতি দেন রাজু। এদিন বালাসন সেতু নিয়ে সাংসদের নীরবতায় ফোরলেন তৈরির ব্যাপারে সাধারণ মানুষ হতাশ।
প্রসঙ্গত, বালাসন সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু করার জন্য বেইলি ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু, সেই কাজের গতিও মন্থর। আর বেইলি ব্রিজ তৈরি হয়ে গেলেও সব ধরনের যান চলাচল করতে পারবে না। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেইলি ব্রিজ স্থায়ী সমাধান নয়। ফোরলেনের কাজ কবে শুরু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্র সরকারের অর্থ বরাদ্দের অনুমোদনও আসেনি। তাই ক্ষতিগ্রস্ত বালাসন সেতুকেই মেরামত করে আবার সব ধরনের যান চলাচলের উপযোগী করে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বেইলি ব্রিজের কাজ চলার পাশাপাশি ফের সেতু বিশেষজ্ঞদের একটি দল বালাসন সেতু পর্যবেক্ষণে আসবে। তারা সব খতিয়ে দেখে এই ভাঙা সেতুকে কীভাবে মেরামত করে সব ধরনের যান চলাচল উপযোগী করে তোলা যায় সেই বিষয়ে মতামত জানাবেন। তাঁদের পরামর্শ মতো এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সেতু মেরামতের কাজ শুরু হবে। সেক্ষেত্রে তখন বেইলি ব্রিজ খুলে নেওয়া হবে। পূর্তদপ্তরের জাতীয় সড়ক বিভাগের (ডিভিশন-৯) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আর কে সিং বলেন, বেইলি ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে। তবে বেইলি ব্রিজ দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। আবার পরিদর্শনে আসবে সেতু বিশেষজ্ঞদের একটি দল।