জন্মদিনের আগাম উপহার পেলেন শাহরুখ খান। আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর হল অবশেষে। শাহরুখ পুত্রের আইনজীবী মুকুল রোহতাগি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শুক্রবার বা শনিবারই আরিয়ান খান, মুনমুন ধামেচা এবং আরবাজ মার্চেন্ট জেলার বাইরে বেরোবেন।
তারকা পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বহুক্ষণ। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তিনি এনসিবি আধিকারিকদের জানিয়েছেন, ক্রুজে আসার জন্য তাঁকে টাকা দিতে হয়নি। বরং তাঁকে অতিথি হিসেবেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁর নাম ব্যবহার করেই পার্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছিল। তদন্তকারীদের এমনটাই জানিয়েছিলেন আরিয়ান।
মুকুল রোহতাগি এদিন বলেন, ‘অর্ডার পারে কিছুটা সময় লাগবে। তারপরেই ওঁরা জেলের বাইরে আসবেন। আমার জন্য এটিও একটি সাধারণ কেস। কিছু মামলা আমরা জিতি, কিছু হারি। তবে আমি খুশি যে আরিয়ান খান অবশেষে জামিন পেলেন।’
বৃহস্পতিবার আদালতে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন এনসিবি-র আইনজীবী অনিল সিং। এদিন তিনি বলেন, ‘ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত আরিয়ান খান এই প্রথম মাদক কাণ্ডে জড়িয়েছেন এমন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।’
বম্বে হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন অনিল সিং বলেন, ‘ডিফেন্স সবসময় টেস্টিং নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আমাদের কেস মাদক ব্যবহার করা নিয়ে নয়। বরং হেফাজতে মাদক রাখা নিয়ে। অন্যতম অভিযুক্ত জেনেশুনেই নিজের হেফাজতে মাদক রেখেছিলেন।’
প্রসঙ্গত, বিলাসবহুল জাহাজে চলা রেভ পার্টিতে অভিযান চালিয়ে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে আটক করেছিল এনসিবি। গভীর রাতে মুম্বই থেকে গোয়াগামী ওই জাহাজে অভিযান চালিয়েছিল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। আরিয়ান সহ আরও দু’ জনকে আটক করেছে এনসিবি।
আইনজীবীর দাবি, শাহরুখ পুত্রের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট দেখে এটা স্পষ্ট যে তিনি মাদক ব্যবহারের জন্য নয়, বরং বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। এক্সট্যাসির পরিমাণ দেখেও তেমনই মনে হচ্ছে দাবি সরকারি আইনজীবীর। অনিল জানিয়েছেন, আরিয়ান খান জানতেন আরবাজের কাছে মাদক আছে। দু’জনে সেটা নেবেন ভেবেছিলেন। তবে আরবাজের কাছে ছিল ওই মাদক।