একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যের সংগঠন বিস্তার এবং নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা। সেই লক্ষ্যেই এবার গোয়াতে কোমর বেঁধে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। আগামী বছর ২০২২ সালে দ্বীপ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই সেখানেই বিজেপির বিপক্ষে শক্তিশালী দল হিসেবে উঠে আসতে চাইছে তৃণমূল। ২৮ তারিখ গোয়া সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই সেখানে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দেবে দলীয় নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, দীর্ঘ দিনের বিধায়ক লুইজিনহো ফালেরিওকে সম্প্রতি দলে সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদে বসানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে ফেলারিওকে দলীয় পদে আনার পেছনে বড় কারণ রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। কংগ্রেসে থাকাকালীন, ফালেরিও উত্তর পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে দলের দায়িত্ব সামলেছেন। মিজোরামে একবার কংগ্রেসকে ক্ষমতায়ও এনেছেন তিনি। ফলে তাঁকে উত্তর পূর্বের কংগ্রেসকেও ভাঙানো সম্ভব।
এই মুহূর্তে গোয়ায় সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে জোর দিয়েছে তৃণমূল। পুজোর মধ্যে দশমীর দিন গোয়ায় প্রথম দলীয় দফতর খোলা হয়েছে। ২৮ তারিখে গোয়ায় যাবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিন দিনের কর্মসূচী আছে। গোয়া বিধানসভা ভোটের মুখে মমতার ওই সফরের পিছনে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন তারকা এবং কংগ্রেস নেতা অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার থেকেই গোয়ায় নির্বাচনী প্রচার শুরু করবে দল। তাছাড়াও একাধিক সংগঠনিক বৈঠক হবে গোয়ায়। রয়েছে টিম অভিষেকের টানা কর্মসূচী।