বিজয়া দশমীতে গোয়ায় খুলল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়। পানাজিতে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। গোয়ার দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী এবং সাতবারের কংগ্রেস সাংসদ লুইজিনহো ফ্যালেইরো-সহ একঝাঁক জনপ্রিয় কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগ দিতেই সমুদ্রপারেও শক্ত হচ্ছে ঘাসফুলের শিকড়। বিজয়া দশমীতেও অব্যাহত জোড়াফুল শিবিরে যোগদান।
পানাজির নতুন দলীয় কার্যালয় খোলার দিনই প্রাক্তন আপ নেতা ও প্রাক্তন কংগ্রেস মুখপাত্র স্বাতী কেরকার এবং প্রাক্তন আপ নেতা ও সমাজসেবী জয়েশ শেঠ গোয়ানকার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল ছেড়ে যোগ দেন জোড়াফুল শিবিরে। শুধু কংগ্রেস বা আপ-ই নয় রক্তক্ষরণ গেরুয়া শিবিরেরও। শুক্রবারই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন বিজেপি-র মহিলা মোর্চার এক্সিকিউটিভ কমিটির প্রাক্তন সদস্য দীক্ষা তালবেনকার।
আগামী বছর ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ভোট। গোয়া বিধানসভা দখলই এখন পাখির চোখ তৃণমূলের। ২০২৪ রাজধানী দখলের নীল নকশা তৈরিতেই কোমর বেঁধে নেমেছে ঘাসফুল হাইকম্যান্ড। দিল্লীকে সামনে রেখেই অন্যান্য রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার লক্ষ্য। শুধু কংগ্রেস নয়, আপ-বিজেপি ভেঙেও গোয়া উপকূলে চলছে ঘাসফুলের বিস্তার। দায়িত্বে আছেন সুখেন্দুশেখর রায়, মনোজ তিওয়ারি, ডেরেক ও’ব্রায়েন। দলীয় কার্যালয় শুরু দিনেই এমন হেভিওয়েটদের যোগদানে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে গোয়ায় নতুন সূর্যোদয় হবে বলে আস্থা দলীয় কর্মীদের।