রাজভবন–নবান্ন সংঘাত বারবার দেখেছেন রাজ্যবাসী। সদ্য ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে শেষপর্যন্ত বিধানসভায় গিয়ে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। যা নিয়ে বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীকে না অবগত করে রাজ্য প্রশাসনের কোনও আধিকারিককে তলব করতে পারে না রাজভবন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে চিঠি দিয়ে এই বার্তাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল। এমনকী এই নিয়ে রাজভবনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজপাল জগদীপ ধনকর বলে সূত্রের খবর।
নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি করোনাভাইরাস নিয়ে রাজ্যের কাছে তথ্য জানতে চান রাজ্যপাল। এমনকী তা নিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ডেকে পাঠান। শুধু তাই নয়, তাঁর ওই তলব না সাড়া দিলে মুখ্যসচিবের উপরেই দায় চাপবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। তারপরই রাজ্যপালের সেই চিঠির সরাসরি উত্তর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, রাজ্যপাল এমন কাজ করতে পারেন না। ফলে আবার রাজভবন– নবান্ন সংঘাত দেখা দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এদিন তিনি আবার চিঠি পাঠান মুখ্যসচিবকে। বারবার এই চিঠি পাঠানোয় বিরক্ত নবান্ন। কারণ চিঠির কোনও ভিত্তি নেই। তাই মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, ‘রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো রাজ্যপালের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। তিনি চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যে কোনও তথ্য জানতে চাইতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন কোন আধিকারিককে পাঠাবেন রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপালের সম্মান রক্ষায় মাসে একবার রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আধিকারিকেরা তাঁর কাছে গিয়ে কথা বলে আসতে পারেন। তবে রাজ্যপালের তলবের প্রেক্ষিতে তা হবে না।’