প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফর কালে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দেখালেন আমেরিকা নিবাসী কয়েক ডজন ভারতীয়। নয়া কৃষি আইন, কাশ্মীরে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা-সহ একাধিক অভিযোগ তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বলে সংবাদ সংস্থা আলজাজিরা সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, হোয়াইট হাইসের সামনে লাফায়েত স্কোয়ার পার্কে ভিড় করেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের হাতে ছিল সেভ ইন্ডিয়া ফর ফ্যসিজম’ পোস্টার। মুখে ছিল মোদীবিরোধী স্লোগান। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৪-তে মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। ভারতে সংখ্যালঘুরা অসুরক্ষিত। তিন কৃষি আইন কৃষক বিরোধী। তাঁদের দাবি, বিজেপি ভারতের ক্ষমতায় আসার পর দেশে ধর্মীয় মেরুকরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসেই বাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট। বিদেশ সচব হর্ষবর্ধন শ্রিঙ্ঘলাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদীর সঙ্গে আলোচনার সময় নিজের থেকেই পাকিস্তানের নাম উচ্চারণ করেন কমলা হ্যারিস। তিনি নাকি স্পষ্ট ভাষায় জানান, পাকিস্তানে বসে কাজ করছে একাধিক জঙ্গি সংগঠন।
এখানেই শেষ নন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন এই শীর্ষ প্রশাসক আরও জানান, সন্ত্রাসবাদকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতিমধ্যে ইসলামাবাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। পাক ভূমি যাতে জঙ্গি সংগঠনগুলোর স্বর্গ রাজ্য হয়ে না ওঠে, সেই পরামর্শ দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বিশ্ব জলবায়ু, আফগানিস্তান, সন্ত্রাসবাদ-সহ অন্যান্য ইস্যুতে কথা বলবেন দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়া নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভাতেও বক্তব্য রাখবেন তিনি।