এবার কলকাতার মুকুটে জুড়ল আরও একটি নতুন পালক। দেশের মহানগরীগুলোর মধ্যে বসবাসের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে তিলোত্তমা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর প্রকাশিত ২০২০ সালের রিপোর্ট বলছে, প্রবীণদের জন্য সর্বাধিক সুরক্ষিত শহর এই কলকাতাই। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতার শিকার রাজধানী দিল্লীর মহিলারা। এনসিআরবি’র তরফে ২০২০ সালের যে ডেটা প্রকাশ করা হয়েছে,তাতে বলা হচ্ছে কলকাতায় অপরাধের মাত্রা সবচেয়ে কম। এ শহরে অপরাধের হার ১২৯.৫। তালিকায় এর পরই রয়েছে হায়দরাবাদ, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরু। যদিও সেখানে অপরাধের হার কলকাতার তুলনায় অনেকটাই বেশি। তবে দেশের অন্যান্য মহানগরীর নিরিখে কম। তিনটি শহরে অপরাধের মাত্রা যথাক্রমে ২৩৩, ৩১৮.৬ এবং ৪০১.৯। যেখানে গোটা দেশে অপরাধের হার ৮১০.৩।
প্রসঙ্গত, ২০ লক্ষের বেশি জনবসতি যুক্ত মোট ১৯টি শহরের রিপোর্ট তৈরি করেছে এনসিআরবি। আর সেখানেই বলা হয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতা ভুক্ত অপরাধের পাশাপাশি রাজ্যের আইনভুক্ত অপরাধের পরিমাণও কলকাতায় সর্বনিম্ন। প্রবীণদের জন্যও সবচেয়ে নিরাপদ এই শহর। তবে এটাই প্রথম নয়, এই নিয়ে তৃতীয়বার সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তকমা পেল কলকাতা। গত সাত বছরে অপরাধের হার ক্রমাগত নিম্নমুখী বলেই জানাচ্ছে রিপোর্ট। অর্থাৎ তৃণমূল সরকারের আমলে কলকাতা যে শক্ত হাতেই অপরাধ দমন করতে সক্ষম হয়েছে, সেই তথ্যেই সিলমোহর দিল এনসিআরবি। লালবাজারের দাবি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারেই হিংসা, বিদ্বেষ, অপরাধ রোখা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, একদিকে দেশের প্রাক্তন রাজধানী যখন সবচেয়ে নিরাপদ শহরের শিরোপা পাচ্ছে তখন রিপোর্ট বলছে, বর্তমান রাজধানীই মহিলাদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক শহর। সমস্ত মহানগরীর মধ্যে দিল্লীতেই অপরাধের হার সর্বোচ্চ। করোনা অতিমারীর জেরে বিগত বছরের তুলনায় ২০২০ সালে অপরাধ প্রবণতা খানিকটা কমলেও দিল্লীতে একেবারেই নিরাপদ নন মহিলারা। ২০২০ সালের ডেটা অনুযায়ী, এ শহরে দিনপিছু গড়ে ৭৭টি ধর্ষণ,৮০টি খুনের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও পরিবেশ দূষণ, অপহরণের মতো অপরাধও বেড়েই চলেছে। তাই দেশের মধ্যে বসবাসের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ কলকাতা।