রবিবার কাবুলে ঢুকে পড়ে তালিবান। তার আগের দিনই কাবুল থেকে কোনও মতে বেরিয়ে আসে বরেন। কাবুলে আটকে রয়েছেন বহু ভারতীয এদের মধ্যে কমপক্ষে ২০০ জন পশ্চিমবঙ্গের। কার্শিয়াং, জলপাইগুড়ি, রানাঘাট, বারাসতের একাধিক যুবক যেখানে আটকে থাকলেও কেউ ফিরতে পারেননি। তবে কোনওক্রমে প্রাণ নিয়ে ফিরলেন কলকাতার পিকনিক গার্ডেনের বরেন সিং নামে এক যুবক।
আফগানিস্তানে শেফের কাজ করতেন বরেন। ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে ছিলেন কাবুলে। তিনদিন আগেই তিনি কলকাতায় ফিরেছেন। এখনও আতঙ্কের ছাপ তাঁর চোখেমুখে। রঞ্জিত গোমস নামের এক ব্যাক্তিও ফিরেছেন বরেনের সঙ্গে। রবিবার তালিবান কাবুলে ঢুকে পড়ার আগের দিনই কাবুল থেকে কোনও মতে বেরিয়ে আসতে পারেন বরেন।
কাবুলে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বরেন বলেন, – ‘দুদিন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম যে কাবুল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছেল যে কোম্পানিকে বলে টিকিট কেটে বেরিয়ে পড়েছিলাম। আমরা মোট ৫ জন ফিরেছি। আমাদের মধ্যে কয়েকজন এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। বিমানবন্দর যাওয়ার রাস্তায় প্রচুর ভিড় ছিল। মানুষ পালানোর জন্য রাস্তায় নেমে পড়েছিল। তবে আমাদের ড্রাইভার এয়ারপোর্টের কাছে এনে ছেড়ে দেয়। যে ফ্লাইটে আমরা এসেছি সেটাই ছিল কাবুল থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার শেষ উড়ান।’
তালিবানরা কাবুলের দিতে এগোনোর খবর ছড়াতেই আতঙ্ক তৈরি হয় বরেনের পরিবারে। এনিয়ে বরেনের স্ত্রী বলেন, গোলমাল বাড়ছিল। ভয় ছিল, ও ফিরতে পারবে কিনা। ভাগ্যভালো যে ও ফিরতে পেরেছে। তবে সবসময় ফোনে শেষ পরিস্থিতি জানাচ্ছিল বরেন। খবরটা অন্তত পাচ্ছিলাম। বরেন সিং আরও বলেন, আমরা কাবুল থেকে বেরিয়ে পড়ার পরই কাবুল দখল নিয়ে নেয় তালিবান। তার আগে অবশ্য তারা শহরের প্রান্তে জড়ো হয়ে গিয়েছিল। এর আগে যখন তালিবান হামলা হতো তখন বাঙ্কারে লুকিয়ে পড়তাম। এক সময় মনে হচ্ছিল ফিরতে তো পারবই না। এমনকি বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারব না। অনেকে রাস্তা থেকে ফিরে গিয়েছেন।