কোভিড পরিস্থিতির জন্য যেহেতু পরীক্ষা নেওয়া হয়নি, সেহেতু কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করা হল না এবার। তবে কোনও পরীক্ষার্থী যদি বোর্ডের নম্বরে সন্তুষ্ট না হয়, সে ক্ষেত্রে পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন জানাতে পারে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর সেই পরীক্ষার দিন ধার্য করা হবে।
পর্ষদ সভাপতি জানান, এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। আলিম, ফাজিলের পাশাপাশি হাই মাদ্রাসাতেও ১০০ শতাংশ পাশ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। ৯টি কেন্দ্র থেকে মার্কশিট, সার্টিফিকেট ও অ্যাডমিট দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানরা সেই শংসাপত্র নিয়ে যাবেন। এর পর মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবককে সেই নথি গ্রহণ করতে হবে।
হাই মাদ্রাসায় ১ থেকে ১০-এর মধ্যে রয়েছে ৩৫ জন। ৮০০-এর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর ৭৯৭। আলিমে ১ থেকে ১০-এর মধ্যে রয়েছে ১৭ জনের নাম। ৯০০-এর মধ্যে ৮৯৬ সর্বোচ্চ নম্বর। অন্যদিকে ফাজিলে ১ থেকে ১০-এর মধ্যে রয়েছে ১০ জন। ৬০০-এর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর ৫৭৪। মুর্শিদাবাদের সার্বিক ফলাফল এবার বেশ ভাল হয়েছে বলে জানান পর্ষদ সভাপতি।
পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন সাংবাদিক সম্মেলনে ফলাফল ঘোষণা করে বলেন, আলিম, ফাজিলেও পরীক্ষার্থীদের ১০০ শতাংশ পাশ করেছে। এদিনই ১২ টা থেকে বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফলাফল জানা যাচ্ছে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের মতোই রেজিস্ট্রেশন নম্বর মিলিয়ে জানা যাবে ফলাফল।