পেগাসাস বিতর্কে উত্তাল সংসদ। সবকিছু বাদ দিয়ে এই ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে প্রস্তাব আনেন তৃণমূল সাংসদরা। মঙ্গলবার শুরু থেকেই পেগাসাস নিয়ে হই হট্টগোল চলে রাজ্যসভা ও লোকসভা অধিবেশন। বিরোধীদের তুমুল হইচইয়ের মধ্যেই মুলতুবি হয়ে যায় দুই কক্ষের অধিবেশন। সংসদ ভবনের বাইরে এর প্রতিবাদে ধর্ণা প্রদর্শন করেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। বাংলার ভোটেও নজরদারির অভিযোগ তুলে মোদী-শাহের পদত্যাগের দাবি জানালেন সাংসদ সৌগত রায়।
মঙ্গলবার সংসদে অধিবেশন শুরুর আগে রণকৌশল বৈঠক করেন বিরোধীরা। যেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল, কংগ্রেস, আরজেডি, ডিএমকে ও বামেদের প্রতিনিধিরা। সেখানেই ঠিক হয়, এই ইস্যুতে সরকারকে এক ইঞ্জি জমিও ছাড়া হবে না। সরকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বিরোধী দলগুলোর নেতাদের ফোনে নজরদারির যে অভিযোগ উঠে এসেছে, তাতে কোনও ভাবেই মোদী সরকারকে রেয়াত করা হবে না। সেই মতো এ দিন সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূল সাংসদরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা। রাজ্যসভার অধিবেশন বেলা ১২ টা এবং লোকসভার অধিবেশন বেলা ২টো পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
পোস্টার ব্যানার হাতে সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রতীকী ফোন নিয়ে আড়ি পাতার অভিযোগ তুলে স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল সাংসদরা। কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশেও সকাল ১০টা থেকে এক দিন ব্যাপী ধর্ণা কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি তৃণমূলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনে আড়িপাতার ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের কঠোর সাজা দিতে হবে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের অভিযোগ, বাংলার ভোটে বিরোধী নেতাদের ফোনে আঁড়ি পেতেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অভিযোগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি জানান তিনি।