বিগত ২০১৯ সালে কর্ণাটকে জনতা দল সেকিউলার এবং কংগ্রেস জোটের সরকার ফেলতে ব্যবহার করা হয়েছে পেগাসাস। এমনই সম্ভাবনার কথা এল প্রকাশ্যে। এই দুই দলের বেশ কিছু নেতার ফোনের ওপর নজরদারি চালাতে ব্যবহৃত হয়েছিল পেগাসাস। এমনই তথ্য সামনে আনল ভারতীয় সংবাদ সংস্থা ‘দ্য ওয়্যার’। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে কর্নাটকে জেডিএস-কংগ্রেস সরকারের পতন এবং বিজেপির ক্ষমতা দখলের পেছনে বড় ভূমিকা থাকতে পারে এই নজরদারির।
প্রসঙ্গত, বিধায়কদের প্রতিবাদের মুখে যখন এইচ ডি কুমারস্বামী সরকার শোচনীয় অবস্থায় ছিল ঠিক সেই সময়ই ওই নম্বরগুলির ওপর নজরদারি চালানো হয় বলে অভিযোগ। উপ-মুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরের ফোন নম্বর এবং মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারমাইয়া ব্যক্তিগত সচিবদের ফোন নম্বর স্পাইওয়্যারের সম্ভাব্য লক্ষ্য ছিল বলে জানিয়েছে ওই সংবাদ সংস্থা। দ্য ওয়্যারের মতে, এই নম্বরগুলি ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও গ্ৰুপের ‘আগ্রহী’ ভারতীয় উপভোক্তাদের তালিকায় রয়েছে। ফরাসি সংবাদ সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিস এই তালিকা দ্য ওয়্যার সহ বিশ্বের মোট ১৬ টি সংবাদ সংস্থাকে দিয়েছে। তারা এই প্রকল্পটির নাম দিয়েছে ‘পেগাসাস প্রজেক্ট’।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকে ২০১৯ সালে ১৭ জন বিধায়কের একসাথে ইস্তফা দেওয়ার পর পতন হয় জেডিএস-কংগ্রেস সরকারের। এরপর ওই বিধায়করা বিজেপিতে যোগদান করেন এবং বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে ক্ষমতায় ফিরতে সাহায্য করেন। প্রসঙ্গত, পেগসাসের নজরদারির তালিকায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর এবং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর ফোন নম্বর থাকার খবর প্রকাশ্যে এসেছে গতকাল। আর তারপর থেকেই উত্তপ্ত বাংলা তথা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ।