সংবাদ মাধ্যমের সামনে একে অপরকে বিঁধতে ছাড়েন না তাঁরা। কিন্তু যুযুধান দুই হেভিওয়েট নেতা বিজেপির দিলীপ ঘোষ এবং তৃণমূলের মদন মিত্রকে মঙ্গলবার পাওয়া গেল অন্য মেজাজে। বিধানসভা চত্বরে মুখোমুখি হয়ে সৌজন্য বিনিময় করতে ভুললেন না কেউ। বিধানসভার মদন-দিলীপ দুজনকেই এদিন বেশ হালকা মুডে দেখা গেল। একে অন্যের দিকে তাকিয়ে হালকা মেজাজে কথা বলতে দেখা যায় দুই শিবিরের দুই ডাকসাইটে নেতাকে। সঙ্গে ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন বিধায়ক ও প্রথম সারির নেতা।
মঙ্গলবার ছিল বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন। এদিন রাজ্যপালের ভাষণ, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড–সহ নানা বিষয়ে আলোচনার সময়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠে অধিবেশন কক্ষ। বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের তরজায় তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা বক্তব্য রাখতে উঠলেই কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা বলতে থাকেন, সত্যের মুখোমুখি হতে পারবে না বলেই পালিয়ে যাচ্ছে।
রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা করতে গিয়ে এদিন সভায় নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কদের তুমুল বচসা শুরু হয়। বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে ঘিরে তৃণমূল বিধায়করা দলবদল নিয়ে আক্রমণ করেন। অন্যদিকে, ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান আরেক তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তাঁর প্রশ্ন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপির রাজ্য সরকারগুলিকে ৩ কোটি করে ভ্যাকসিন দিয়েছে। আমাদের রাজ্যে পৌনে দু’কোটি মাত্র ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এটা বাংলাকে বঞ্চনা করার কৌশল।’