সুপ্রিম কোর্টে নারদ মামলার প্রেক্ষিতে আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত মুখ্যমন্ত্রীকে সেই মামলায় পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টেই আবেদন করতে বলে। নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি আগে শুনতে কলকাতা হাইকোর্টকেও নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন করলেন। তাঁরই সঙ্গে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও রাজ্য সরকারও।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, ২৮ জুনের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে নতুন করে আবেদন করতে হবে। তাঁর হলফনামা পেশ করতে হবে। সেই হলফনামার অ্যাডভান্স কপি ২৭ জুনের মধ্যে সিবিআইকে পাঠাতে হবে। ২৯ জুন হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে হবে নারদ মামলার শুনানি। মূল মামলা শোনার আগে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি আগে শোনার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মোতাবেক এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা পেশের আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, নারদ মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের সামনে। সেখানে সিবিআই-এর তরফে রাজ্য থেকে নারদ মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সিবিআই-এর সেই আবেদনের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার হলফনামা দিতে চাইলেও তা দিতে দেওয়া হয়নি। ওই মামলায় রাজ্য সরকার এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক দাবি করেন, সিবিআই-এর অভিযোগের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানানোর অধিকার তাঁদের রয়েছে। প্রসঙ্গত সিবিআই অভিযোগ করেছিল, ১৭ মে নারদ মামলায় চার নেতাকে গ্রেফতারের পরে সিবিআই দফতরের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী।
এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মমতা। শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিম-সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের গ্রেফতারির পরে তিনি সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন ঠিকই, তবে তা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়। অভিযুক্ত ও তাঁদের পরিবারের পরিচিত হিসেবেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। এমনকী সিবিআই অভিযোগ তুললেও কলকাতায় সিবিআই দফতরের বাইরে ধর্নায় বসেননি তিনি। সিবিআই-এর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যে অভিযোগ’-র অভিযোগও করেন তিনি।