ক্রমশ সুস্থ হচ্ছে বাংলা। গত ২৪ ঘণ্টায়ও নিম্নমুখী করোনা সংক্রমণ। তবে সামান্য বেড়েছে মৃত্যু। বেড়েছে সুস্থতার হারও। দ্রুতই পরিস্থিতি আয়ত্তে আসবে বলে আশাবাদী রাজ্যবাসী। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১,৭৬১ জন রাজ্যবাসী। তাঁদের মধ্যে ১৮৬ জন উত্তর ২৪ পরগনার। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এদিনও প্রথম স্থানে ওই জেলা। তবে সম্ভবত এই প্রথম ওই জেলার দৈনিক সংক্রমণ দুশোর কম
দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কলকাতা। একদিনে সংক্রমিত সেখানকার ১৬৩ জন। তৃতীয় স্থানে দার্জিলিং ও পশ্চিম মেদিনীপুর। একদিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৩ জন করে। পূর্ব মেদিনীপুর চতুর্থ স্থানে। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ১১৫ জন। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের করোনা গ্রাফও নিম্নমুখী। তবে দার্জিলিংয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। যা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়াচ্ছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,৯৬,৭১০।
এদিন করোনা প্রাণ কেড়েছে রাজ্যের ৩২ জনের। যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। এদিনের মৃতদের মধ্যে ৯ জন উত্তর ২৪ পরগনার। ৭ জন কলকাতার। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭, ৬৪৪ জনের। একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ২,০৩৩ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪, ৫৭, ৪৮৬। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৭. ৩৮ শতাংশ। সুস্থতার হার স্বাভাবিকভাবেই আশার আলো দেখাচ্ছে রাজ্যবাসীকে। উল্লেখ্য, করোনাকে বাগে আনতে ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যে জারি রয়েছে কড়ানিষেধ। অল্প সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও বন্ধ সমস্ত গণপরিবহণ। জুলাইয়ের শুরু থেকে বাস-অটো পরিষেবা শুরু হলেও বন্ধই থাকবে ট্রেন-মেট্রো। কতদিনে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি, তাকিয়ে বাংলার মানুষ।