রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে এবারে একইসঙ্গে একগুচ্ছ তিরে তীব্র আক্রমণ করলেন কামারহাটি বিধায়ক। ছেলেবেলার ছড়া কেটে রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। রাজ্যপাল পদকে এমনকি পরকীয়ার সঙ্গেও তুলনা করেছেন কামারহাটির বিধায়ক। রাজ্যে সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। আরও একধাপ এগিয়ে মদন বলেন, ‘এই রাজ্যপাল ৭২ ঘণ্টার মধ্যেও চলে যেতে পারেন।’
হাওড়ার বালির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মদন মিত্র। সেখানেই চাঁচাছোলা ভাষায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একের পর এক সমালোচনায় সরব হন তিনি। তাঁর কথায়, ‘পরকীয়া আর রাজ্যপাল দুটোই লেবুর চাটনি বা আমারে আচারের মতো। উনি কয়েক দিন আগে বললেন, হাজার হাজার বাঙালি না কি আসাম চলে গিয়েছেন। উনি বলতেই পারতেন ‘আমি শিলং বেড়াতে যাব, সরকারি পয়সায়, বিজনেস ক্লাসে’। আসামে গিয়ে দেখলেন এক জন বাঙালি ওঁকে বললেন না যে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পর উনি ফিরে এসে দিল্লী গিয়ে বললেন, ‘বাংলায় ব্যাপক সন্ত্রাস হয়েছে’।
এরপরেই নিজস্ব ঢঙে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘আমি মদন মিত্র চ্যালেঞ্জ করছি, এখানে ৩ জন বিজেপি কর্মীর বাড়ি দেখান, যাদের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বা লাশ এখান দিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। তেমন হলে আমি বিধায়ক পদ ছেড়ে দেব।’ মদন মিত্রের মন্তব্য, ‘ওঁকে দেখলে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে, জল পড়ে, পাতা নড়ে, পাগলা হাতি মাথা নাড়ে। উনি পাগলা হাতির মতো মাথা নাড়েন। আমার ভাল লাগে!’ রাজ্যপাল প্রসঙ্গে মদনের আরও মন্তব্য, ‘আমার রাজ্যপালের মুখ দেখলেই ডিপ্রেশান হয়।’
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও মুখর হন মদন। প্রধানমন্ত্রীর ভোটের সময় দলীয় প্রচারে ঘন ঘন রাজ্যে আসাকে কটাক্ষ করে মদন বলেন, ‘এ বার প্রধানমন্ত্রী ভোটপ্রচারে এসে বলেছিলেন, ‘মেরে দিদি হ্যায় তোলাবাজ’। এ তো বালির মস্তানরাও বলে না। আর বাংলার মানুষ দু’টো গালে দু’টো থাপ্পড় মারল, ২১৩। এখন লখনউ-দিল্লী ডেলি প্যাসেঞ্জারি করো’।