আগে উপত্যকার পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হোক, তারপর নির্বাচনের কথা ভাবা হোক। এবার কেন্দ্রকে এমনই বার্তা দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। ‘সঠিক সময়ে’ কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর আশ্বাস দিলেও গতকালের সর্বদল বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে বিরোধী নেতাদের স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যে সেই সঠিক সময় এখনও আসেনি। বস্তুত, সরকার চাইছে, আগে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবেই জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন হোক। তারপর পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর কথা ভাবা হবে।
কেন্দ্রের এই অবস্থানই মানতে নারাজ চিদম্বরম। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা সর্বদল বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি টুইটে বললেন, ‘গাড়িকে টেনে নিয়ে যাওয়া ঘোড়ার কাজ। তেমনি সব রাজ্যেই নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে, শুধুমাত্র পৃথক রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোট হলেই সেই ভোট সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে। তাহলে সরকার কেন গাড়ি দিয়ে ঘোড়া টানানোর চেষ্টা করছে? অদ্ভুৎ!’ চিদম্বরমের সাফ কথা, কংগ্রেস এবং কাশ্মীরের অন্যান্য দলের নেতাদের স্পষ্ট দাবি। তাঁরা আগে কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা চান। তারপর নির্বাচন চান।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্র এখনও কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর ব্যাপারে কোনও আশার বাণী উপত্যকার নেতাদের শোনায়নি। তাঁদের জানানো হয়েছে, ‘এই বিষয়টি সঠিক সময়ে বিবেচনা করা হবে। সেই সঠিক সময় এখনও আসেনি।’ পাশাপাশি এ-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘ডিলিমিটেশন’ সম্পূর্ণ হলেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, বিজেপির আসল উদ্দেশ্য এই ‘ডিলিমিটেশন’ অর্থাৎ বিধানসভার পুনর্বিন্যাস। যেটা করে জম্মু এলাকায় কাশ্মীরের থেকে বেশি আসন তৈরি করে দেওয়া হবে। আর এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনীতিতে গুরুত্ব বেড়ে যাবে বিজেপির।