অন্যান্য দিনের মতন বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টা ৩৫ নাগাদ বারুইপুর থেকে শিয়ালদহগামী স্টাফ স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠেছিলেন কুড়ি জনের বেশি মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরাl বারুইপুর থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যখন মল্লিকপুর স্টেশনে ঢোকার আগেই ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায় অবরোধের কারণেl অভিযোগ প্রায় জনা পঞ্চাশেক যুবক, কিশোর ট্রেনটির উদ্দেশ্যে ইঁট পাটকেল ছুঁড়তে ছুঁড়তে উঠে পড়ে ট্রেনের কামরায়। সেখানে মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ চলে, এমনকি ওড়না ধরে টানাহেঁচড়া চলতে থাকে বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি এমনই হয় যে বিক্ষুব্ধ জনতা মারধর করার জন্য উদ্যত হলে শেষমেষ বাধ্য হয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে রেললাইনে নামতে বাধ্য হন ওই মহিলার স্বাস্থ্যকর্মীরাl
এই ঘটনার জখম হন কয়েকজন মহিলাস্বাস্থ্য কর্মীl তারপর তারা কোনও রকমে এসে বারুইপুর জংশন স্টেশনের জিআরপি থানায় অভিযোগ জানানl ট্রেনের কামরায় মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তার দাবিতে তারা বিক্ষোভ দেখানl পরে খবর পেয়ে বারুইপুর জিআরপি থানার সামনে আসেন মল্লিকপুর এলাকার জেলা পরিষদের সদস্য তথা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উপাধ্যক্ষ জয়ন্ত ভদ্রl তিনি মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে কথাও বলেন এবং পাশে থাকার বার্তা দেনl
প্রসঙ্গত এই নিয়ে দ্বিতীয় দিন লোকাল ট্রেন নিয়ে খণ্ডযুদ্ধ। আর তাতেই প্রমাদ গুণছে রেল। রেলের তরফে এদিন রাজ্যকে চিঠি দিয়ে লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবিও জানানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এর আগেও পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে রাজ্যকে চিঠি দিয়ে পরিস্থিতির কথা সবিস্তারে জানানো হয়েছে। স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, স্পেশাল ট্রেনে এক প্রকার ধস্তাধস্তি করে উঠতে চাইছেন নিত্যযাত্রীরা। এতে করোনার সম্ভাবনাও বাড়ছে. পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাকাল হচ্ছেন জিআরপি আরপিএফ। তারই জলজ্যান্ত উদাহরণ এদিন মল্লিকপুরের ঘটনা। এই ঘটনাকে সামনে রেখেই রাজ্য়কে লোকাল ট্রেন চালাতে অনুরোধ জানাতে চায় রেল।