বিহারে রাজনৈতিক ডামাডোল। নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত পটনার রাজনীতিতে। তার মধ্যেই লোক জনশক্তি পার্টির সাংসদ তথা রামবিলাস পাসোয়ান পুত্র চিরাগকে মতাদর্শের পাঠ পড়ালেন বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। দিল্লী থেকে ফিরে তেজস্বীর বার্তা, এনডিএ সংবিধান নয় আরএসএস মতাদর্শে বিশ্বাসী। চিরাগের ভাবা উচিত কোন দিকে যাবেন তিনি।
পাশাপাশি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি তেজস্বী। তাঁর দাবি, এলজেপিতে ভাঙন ধরানোর নেপথ্যে ‘মাস্টারমাইন্ড’ নীতীশ কুমার। রামবিলাসের মৃত্যুর পর লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান হয়েছিলেন তাঁর ছেলে চিরাগ পাসোয়ান। কিন্তু কয়েকদিন আগে চিরাগের নেতৃত্বকে অস্বীকার করেন এলজেপির ৫ সাংসদ। চিরাগের কাকা পশুপতি পরসকে নতুন নেতা হিসেবে বেছে নেন এলজেপির সাংসদরা। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে তাঁরা নিজেদের পৃথক গ্রুপ হিসেবে বিবেচনা করার আর্জি জানান। এরপরই শক্তি প্রদর্শন করতে ন্যাশনাল এগজ়িকিউটিভ মিটিং ডেকে কাকার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দেন চিরাগ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিহারের এই রাজনৈতিক ডামাডোলে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছেন তেজস্বী। তাই তাঁর বার্তা, ‘চিরাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত তিনি কার সঙ্গে দাঁড়াবেন, যাঁরা বাঞ্চ অব থটসে (আরএসএ মতাদর্শ) পরিচালিত হয়, না কি যাঁরা বিআর আম্বেদকরের সংবিধান দ্বারা পরিচালিত হয়’। তেজস্বী আরও দাবি করেন, এর আগেও ২০০৫ ও ২০১০ সালে লোক জনশক্তি পার্টি ভাঙিয়েছিল জেডিইউ।