রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এই পরিস্থিতিতে নতুন আতঙ্ক মারণ ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ। সোমবার নবান্ন থেকে সেই বিষয়েই রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরামর্শ দিলেন শিশুদের যত্ন নেওয়ার।
এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যের করোনা গ্রাফ রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি করেছিল। প্রায় নিয়মিতই কমবেশি ১৮ হাজার মানুষ সংক্রমিত হচ্ছিলেন। বাড়ছিল মৃত্যুও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে সমস্ত গণপরিবহণই বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়া হয় বাজারের সময়সীমা। প্রায় একমাস বন্ধ ছিল জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা। যার সুফলও মিলছে। বর্তমানে রাজ্যের কোভিড গ্রাফ অনেকটাই নিম্নমুখী। এবিষয়ে সোমবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। অষ্টম দফা ভোটের সময় সংক্রমণের হার যা ছিল, এখন তা অনেক কম। তবে উত্তর ২৪ পরগনায় এখনও কিছুটা বেশি আছে। কয়েকশো সংক্রমণ হচ্ছে প্রতিদিন। তবে কলকাতায় অনেকটাই কমেছে’। এদিন তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ২ কোটি রাজ্যবাসীর টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এদিন তৃতীয় ঢেউ নিয়েও প্রত্যেককে সতর্ক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, হাসপাতালে বাচ্চাদের জন্য আরও বেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ আসছে। বাচ্চাদের আরও বেশি করে যত্ন নিতে হবে। আর শিশুদের ভাল রাখার জন্য তাদের মায়েদেরও যত্নের প্রয়োজন। প্রত্যেককে সচেতন থাকতে হবে’। উল্লেখ্য, শত সাবধানতা সত্ত্বেও করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ধাক্কা এড়াতে পারবে না ভারত। অক্টোবর নয়, আগামী ৫ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যেই দেশে ফের ভয়াবহ রূপ নিয়ে আছড়ে পড়বে মারণ ভাইরাসের আরেকপ্রস্ত ঢেউ, এমনটাই জানিয়েছেন এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে দেশবাসী।
