উনিশের লোকসভা ভোটে বিজেপি ১৮টি আসন পাওয়ার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। অনেক বিধায়কও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এর বড় সংখ্যাটাই আবার তৃণমূল থেকে। তবে একুশের ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পরেই ছবিটা উল্টে গিয়েছে। বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলের দিকেই ঝুঁকছেন নেতা-কর্মীরা৷ এর মধ্যে মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার পরেই গেরুয়া শিবির আরও অস্বস্তিতে পড়েছে। সোমবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি বিধায়কদের একটি দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেখানে নজর কেড়েছে বেশ কিছু বিধায়কের অনুপস্থিতি। সেই সংখ্যাটা গেরুয়া শিবিরের পক্ষে রীতিমতো চিন্তাজনক।
শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মোট ৫১ জন বিধায়ক গিয়েছিলেন সোমবার রাজভবনে। অন্তত ২৩ জন বিজেপি বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন সেখানে। এতো বিপুল সংখ্যক বিজেপি বিধায়ক কর্মসূচীতে সামিল না হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে। তৃণমূলে যাওয়ার পর থেকে শোনা যাচ্ছে বিজেপি বিধায়কদের কাছে ফোন যাচ্ছে মুকুল রায়ের। অনেকে সেকথা জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ গোপন রেখেছেন। ফলে মুকুলের এই গতিবিধির জেরেই কি বিজেপির এতো বিরাট সংখ্যক বিধায়ক অনুপস্থিত থাকলেন কিনা, তা ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূলেরও দাবি, বিজেপির থেকে অন্তত ৩৫ জন বিধায়ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যদিও বিজেপি সেই সবে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তবে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, মুকুল রায়ের ক্রমাগত ফোনে অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপিতে। ইতিমধ্যে বাগদার বিজেপির বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে বেসুরো হতে দেখা গিয়েছে। আর এবার বিপুল সংখ্যক বিধায়কের অনুপস্থিতি স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরের।