দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরই সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, এক মাসের মধ্যে স্পষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করব। এবার আমাদের পদ্ধতি ভিন্ন হবে।যে রাজ্যেই যাব জিততে যাব, কিছু ভোট পেতে নয়, কিছু বিধায়কের জন্য নয়। তাঁর সেই ঘোষণার এক সপ্তাহ কাটার আগেই এবার মণিপুরে দৌত্য শুরু করে দিল তৃণমূল। বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় ফোনে কথা হচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের।
প্রসঙ্গত, আগামী বছর মণিপুরে বিধানসভা ভোট রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সে কারণেই প্রথম দফার ‘ফোকাসড স্টেট’-এর তালিকায় সবার ওপরে থাকবে মণিপুর। এমনিতে গত ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল মণিপুরে প্রার্থী দিয়েছিল। এখন একজন বিধায়কও রয়েছে তৃণমূলের। থাঙ্গার বিধায়ক টি রবীন্দ্র সিং তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন। তা ছাড়া মণিপুরের এখনকার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের কেন্দ্র হেইনগাংয়ে দ্বিতীয় হয়েছিল তৃণমূল। এদিকে কংগ্রেস জিতেছিল ২৮টি আসন। তবে মাত্র ২১টি আসনে জিতেই আঞ্চলিক দলগুলির সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে গেরুয়া শিবির। যদিও কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, জোর করে অর্থবলে, পেশী বলে সরকার গড়েছে বিজেপি।
এরই মধ্যে গত বছর জুন মাসেই তিন বিজেপি বিধায়ক যোগ দেনন কংগ্রেসে। তারপর অর্থমন্ত্রী, যুব কল্যাণমন্ত্রী-সহ চার ক্যাবিনেট সদস্য ইস্তফা দিয়ে দেন মন্ত্রিসভা থেকে। পরিস্থিতি যখন এমন তখন অমিত শাহ, হিমন্ত বিশ্বশর্মারা ময়দানে নামেন। মণিপুর থেকে বিদ্রোহীদের ডেকে পাঠানো হয় দিল্লীতে। তারপর ঠান্ডা হয় পরিস্থিতি। কিন্তু ওই ঘটনার পর থেকেই জোট শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব বেড়েছে। সূত্রের খবর, এই আবহেই কলকাতা থেকে ইম্ফলের এনপিপি নেতাদের কাছে ফোন গিয়েছে গত দু’চার দিনে। নাগা পিপলস ফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গেও ফোনাফুনি হয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের।